রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

fec-image

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, প্রতিদিন দুই-চার জন করে রোহিঙ্গা আসছে। তাদের সংখ্যা বাড়ছে। আমরা আর কতদিন তাদের খাইয়ে-পরিয়ে রাখব।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্কের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ কথা বলেন তিনি।

ফলকার টুর্কের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, মানবাধিকারসহ নানা বিষয় নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। মানবাধিকার ইস্যুতে তারা আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা চেয়েছে। আমরাও তাদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছি। বর্তমান সরকার কী কী সংস্কার করছে সেগুলো তারা জানতে চেয়েছিল। আমরা তাদের সেগুলো জানিয়েছি। ভুক্তভোগী ও সাক্ষীদের নিরাপত্তার বিষয়ে তারা আলোচনা করেছে। তাদের এ বিষয় সমস্যা হবে না মর্মে আমরা নিশ্চিত করেছি।

‘শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের বাহিনীর সদস্যরা ভালো কাজ করে উল্লেখ করে তারা বেশ প্রশংসা করেছেন। বিভিন্ন দেশের শান্তিরক্ষী মিশনে বাহিনীর ছোটখাটো সমস্যা থাকে। কিন্তু আমাদের পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী বা কোনো বাহিনীর কোনো সমস্যা হয় না। এ বিষয়ে তারা আমাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একইসঙ্গে পরবর্তীতে জনবল পাঠানোর ক্ষেত্রে দেখেশুনে পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সবচেয়ে বেশি কথা হয়েছে। আমরা বলেছি আমাদেরই অনেক জনগণ, এর ভেতর কীভাবে আমরা রোহিঙ্গাদের এতদিন রাখব? প্রতিদিন দুই-চার জন করে রোহিঙ্গা আসছে। তাদের সংখ্যা বাড়ছে। আমরা কতদিন তাদের খাইয়ে-পরিয়ে রাখব? তারা যেন দ্রুত তাদের দেশে (মিয়ানমারে) ফেরত যেতে পারে সে ব্যাপারে সহযোগিতা চেয়েছি। এ ব্যাপারে তারা সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আপনারা জানেন বর্ডার কিন্তু এখন আরাকান আর্মিদের দখলে চলে গেছে। মিয়ানমার আর্মি পিছু হটে গেছে। এখন এখানে অন্য ধরনের সমস্যা শুরু হয়ে গেছে। এ বিষয় তারা সহযোগিতা করতে চেয়েছেন।

‘রোহিঙ্গাদের খাওয়া-পরার জন্য আমাদের প্রচুর খরচ হচ্ছে। এদের একটি অংশকে অন্য দেশেও নিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু সেটা করা যাচ্ছে না। একটি দেশ কিছু রোহিঙ্গাদের নিতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের সংখ্যা এত কম যে বলার মতো না।’

তিনি বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম আসছে, তারা একটি রিপোর্ট দেবে। তাদের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে আমরা রোহিঙ্গাদের নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেব।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন