রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ: এনজিও ‘মুক্তি’র কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা


রোহিঙ্গাদের মাঝে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে বহুল বিতর্কিত এনজিও `মুক্তি’র কক্সবাজারে ছয়টি প্রকল্পে সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে এনজিও ব্যুরো। এখন থেকে এনজিও ব্যুরোর নির্দেশে কক্সবাজারে ‘মুক্তি’র সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের ১০ হাজার দেশীয় অস্ত্র সরবরাহের মারাত্মক অভিযোগ পাওয়া যায় ‘মুক্তি’র বিরুদ্ধে । ‘মুক্তি’ কক্সবাজারে গোপনে ওইসব অস্ত্র তৈরি করে তা রোহিঙ্গাদের মাঝে সরবরাহ করছিলো বলে জানা যায়। এ বিষয়ে গত ২৬ আগস্ট একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় পার্বত্যনিউজডটকমে।
সংবাদে বলা হয়, উখিয়ার কোটবাজারে ভালুকিয়া সড়কের একটি কামারের দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। টেকনাফের লেদা ক্যাম্পে ‘মুক্তি’ রোহিঙ্গাদের জন্য ৬ হাজার দেশীয় অস্ত্র সরবরাহ করতে চাচ্ছিলো বলে অনুসন্ধানী রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। এ সময় উখিয়া উপজেলা প্রশাসন অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে বলেও জানা যায়।
অভিযোগ রয়েছে, বিতর্কিত এনজিও মুক্তি কক্সবাজারের রোহিঙ্গাদের ঘিরে বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছিল। তারা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দাঁড় করাতেই গোপনে বিপুল দেশীয় অস্ত্র সররবাহ করে জঙ্গি তৎপরতায় সক্রিয় করতে চেয়েছিল।
এ ঘটনা ধরা পড়ার পর সর্বস্তরের মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সর্বত্র চলছিল সমালোচনা ও প্রতিবাদ। বিতর্কিত এনজিও ‘মুক্তি’র সকল কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়ার দাবি উঠে সচেতন মহলে।
আগে থেকেই উস্কানি দিয়ে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরতে না দেয়ার পাশাপাশি কতিপয় এনজিওদের বিরুদ্ধে রয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র সরবরাহের মত অভিযোগ।
এছাড়াও ২৫ আগষ্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মহা সমাবেশে ও এনজিওরা অঢেল টাকাও অস্ত্র দিয়ে রোহিঙ্গাদের সাহস যুগিয়েছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে।
গত সোমবার সকাল ১১ টায় অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া উখিয়া উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফখরুল ইসলাম রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিতরণের জন্য বেসরকারি এনজিও সংস্থা মুক্তি এ সব অস্ত্র তৈরি করতে দিয়েছিল বলে জানান।
তিনি জানান, উদ্ধার করা অস্ত্রগুলো এনজিও সংস্থা মুক্তির জন্য ভালুকিয়ার জনৈক সাইফুল এ সব অস্ত্র তৈরির অর্ডার দিয়েছিল বলে জাানা গেছে ।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিতরণের জন্য দেশীয় অস্ত্র তৈরির ঘটনায় চরমভাবে ক্ষুব্ধ এবং উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন স্থানীয় জনসাধারণ। তারা এনজিও গুলোর এসব অপতৎপরতা বন্ধ করা ও রোহিঙ্গাদের দ্রুত মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর দাবি জানান।
তবে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মুক্তির কার্যকরী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ বলেন, এ বিষয়ে তার সাথে কোন আলাপ আলোচনা করা হয়নি। টেন্ডার করা হয়েছে কিনা? তাও জানেন না তিনি।