‘র’ ও সংখ্যালঘু ইস্যুতে মার্কিন কমিশনকে পালটা আক্রমণ ভারতের

fec-image

যুক্তরাষ্ট্রের ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত কমিশন (ইউএসসিআইআরএফ)-এর বার্ষিক প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। বুধবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই কমিশনের ‘বিচারিক পক্ষপাতদুষ্টতা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মূল্যায়ন’-এর জন্য এটিকে আন্তর্জাতিকভাবে ‘একটি সংকটজনক সত্তা’ হিসেবে ঘোষণা করা উচিত। বুধবার এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে।

মার্কিন ফেডারেল কমিশনের সর্বশেষ প্রতিবেদনে ভারতে সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্য ও নিপীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া ভারতের বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা র-এর বিরুদ্ধে বিদেশে ‘খালিস্তানি’ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হত্যাচেষ্টা চালানোর অভিযোগ তুলে এই সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানানো হয়েছে। ইউএসসিআইআরএফ

ভারত এই প্রতিবেদনকে সম্পূর্ণ ‘মিথ্যা’ বলে অভিহিত করেছে এবং বলেছে, ‘আমরা ইউএসসিআইআরএফ-এর ২০২৫ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন দেখেছি, যা আগের মতোই পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে’।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ‘USCIRF-এর এ ধরনের এজেন্ডা-ভিত্তিক দাবির কোনো ভিত্তি নেই’।

ইউএসসিআইআরএফ-এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে ভারতের প্রশ্ন পরোক্ষভাবে হলেও মার্কিন কমিশনের অস্তিত্ব ও উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে ভারত। দেশটি বলেছে, ‘ইউএসসিআইআরএফ বারবার বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে এবং ভারতের বহুমুখী সংস্কৃতির ওপর ভিত্তিহীন সন্দেহ ছড়াচ্ছে। যা প্রকৃতপক্ষে ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি উদ্বেগ নয়, বরং একটি রাজনৈতিক এজেন্ডা’।

ভারত আরও জানায়, ‘আমরা আশা করি না যে, ইউএসসিআইআরএফ ভারতের বাস্তব অবস্থার সঙ্গে কোনোভাবে সংযোগ স্থাপন করবে বা আমাদের বহুত্ববাদী কাঠামোর স্বীকৃতি দেবে। ভারতে ১.৪ বিলিয়ন মানুষের মধ্যে সব ধর্মের অনুসারীরা সহাবস্থান করছেন, যা ইউএসসিআইআরএফ কখনোই স্বীকার করবে না’।

ভারতের শক্তিশালী বার্তা- ইউএসসিআইআরএফ নিজেই একটি সংকটজনক সংস্থা।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কড়া ভাষায় বলেছে, ‘ভারতের গণতান্ত্রিক ও সহিষ্ণুতার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার এ ধরনের প্রচেষ্টা সফল হবে না। বরং আন্তর্জাতিকভাবে ইউএসসিআইআরএফ-কে ‘একটি সংকটজনক সত্তা’ হিসেবে চিহ্নিত করা উচিত।

ইউএসসিআইআরএফ-এর সুপারিশ কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা কম

যদিও মার্কিন কমিশনটি র-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই সুপারিশ বাস্তবায়ন করবে না। কারণ ইউএসসিআইআরএফF-এর প্রতিবেদন কেবল পরামর্শমূলক এবং এটি মার্কিন সরকারের জন্য বাধ্যতামূলক নয়।

ভারত মূলত মার্কিন কমিশনের বিরুদ্ধে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেছে, ইউএসসিআইআরএফ-এর এমন প্রচেষ্টায় কোনো কাজ হবে না এবং তারা ভবিষ্যতে এই কমিশনকে আরও জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন