লংগদুতে কৃষকদের নামে কোটি টাকার ব্যাংক লোন জালিয়াতি, আ. লীগের তিন নেতা পলাতক
রাঙ্গামাটির পার্বত্য জেলার লংগদু উপজেলায় সাধারণ কৃষকদের নামে কোটি টাকার ব্যাংক লোন জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্তরা হলেন- কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক কবির, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসেম ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য শুক্কুর আলী।
সূত্র জানায়, এসব নেতা এলাকার শতাধিক কৃষকের কাছ থেকে কৃষি প্রণোদনা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের ভোটার আইডি কার্ডের কপি সংগ্রহ করেন। এরপর প্রতিটি কৃষকের নামে ৩৫-৪০ হাজার টাকা ব্যাংক লোন উত্তোলন করে কৃষকদের মাত্র দুই হাজার টাকা প্রদান করেন। আর বাকি অর্থ নিজেরা আত্মসাৎ করে আত্মগোপনে চলে যান।
এদিকে ঋণ পরিশোধের নোটিশ আসে কৃষকদের কাছে। এ নোটিশ পাওয়ার পর কৃষকরা জানতে পারেন তাদের নামে ব্যাংক ঋণ উঠানো হয়েছে। যা বর্তমানে সুদসহ প্রায় ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। এতে নিরীহ কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
এ ঘটনার পর ক্ষুব্ধ কৃষকরা জানিয়েছেন, এই ঋণ তুলে নেওয়ার মূল হোতাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনাতে হবে। একই সঙ্গে জালিয়াতি করে উত্তোলনকৃত লোন দ্রুত বাতিল করতে হবে।
ভুক্তভোগীরা বলেন, একটা উপজেলায় বারবার কেন এমন ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনা ঘটে। তারা এ বিষয়ে দোষীদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানান।
এ ঘটনায় উপজেলা ব্যাংক কর্মকর্তা বিটন চাকমার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
কৃষকরা বলেন, এ ব্যাংক কর্মকর্তা নিজে সরাসরি অফিসের কাজ না করে দালালদের দিয়ে কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। গতবছরও সোনালী ব্যাংক লংগদু শাখায় এমনই একটি জালিয়াতির ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় পাঁচশো সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন।
এ বিষয়ে লংগদু উপজেলা ব্যাংক কর্মকর্তা বিটন চাকমা সাংবাদিকদের দুই দিন ঘুড়িয়েও কোন বক্তব্য দেননি। তার অফিসে উপস্থিত হলে বিভিন্ন অজুহাতে বসিয়ে রাখেন। নিজের শিশু সন্তানকে নিয়েই খেলাধুলায় ব্যস্ততা দেখান। এক পর্যায়ে স্ত্রীকে বাড়ি পাঠাবে বলে তিনি সাংবাদিকদের রেখে অফিস ত্যাগ করেন।