লামার ক্ষতিগ্রস্ত সবজি চাষীরা ঘুরে দাঁড়াতে চায়
লামা প্রতিনিধি:
লাভের আশায় সবজি আবাদ করে কৃষক আব্দুল খালেক, সোলায়মান, অনিল কান্তি দাশ ও অংচাপ্রু মার্মারা এখন দিশেহারা। জমি বর্গা ও লাগিয়ত নিয়ে লাগানো বরবটি, করলা, খিরা, ঢেঁড়শ, চিচিঙ্গা অতি বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে। তথাপি আবার ঘুরে দাঁড়াতে করে যাচ্ছে প্রাণপণ চেষ্টা। প্রতি মৌসুমে স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে লামা উপজেলার সবজি চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। এবারের ঘূর্ণিঝড় মোরা, অতি বৃষ্টি, পাহাড় ধস ও বন্যায় সবজি চাষীরা সর্বশান্ত। তারপরও থেমে নাই সবজি চাষিদের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের হিসাব মতে লামা উপজেলার ৮০ হেক্টর জমির সবজি ক্ষতি হয়েছে। এনজিও কর্তৃক পরিচালিত খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্পের আওতায় ১৫২জন সবজি চাষীর ফসল নষ্ট হয়েছে। মেরাখোলা মুসলিম পাড়া, খিরজানুনা, বধুরঝিরি, মেরাখোলা হিন্দু পাড়া, ছোট বমু হেডম্যান পাড়া, বাইশপাড়ি পাড়া, এমংথোয়াই পাড়া, গজালিয়া হেডম্যান পাড়া, রেমং পাড়া, আকিরাম পাড়া, পুইত্যা পাড়া, শামুকছড়া পাড়া, গাইন্দ্যা পাড়া, দূযোধন পাড়া, কোলাক্য পাড়া, চিউনিমুখ পাড়া, ফাঁসিয়াখালী, দরদরী, রুপসীপাড়া, শিলেরতুয়া, মাষ্টার পাড়ার সবজি চাষীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির বিবরণ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে।
শামুকছড়া পাড়ার নুর হোসেন, কোলাক্য পাড়ার মরত্তো চাকমা ও রেমং পাড়ার থুইচিং মার্মা জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত সবজি চাষীদের সার, বীজসহ উৎপাদন খরচে সহায়তা প্রদান করলে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। কৃষক শাহ নেওয়াজ জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য লামা উপজেলায় ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ এসেছিল। ইউপি চেয়ারম্যানদের অনুকূলে প্রাকৃতিক দূর্যোগের টাকা বিভাজন করে দিলেও কোন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও সবজি চাষীর ভাগ্যে সহায়তার অর্থ মিলেনি। উপজেলা পরিষদে সহায়তা চেয়ে অনেক আবেদন করা হলেও কোন সহায়তা ভাগ্যে জুটেনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরে আলম জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত সবজি চাষী ও কৃষকদের সহায়তায় কোন বরাদ্দ আসে নি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বান্দরবান জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ড. আক্কাছ মাহমুদ জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগে জেলার মধ্যে লামা উপজেলার সবজি চাষীসহ কৃষকরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।