লামায় বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে বন্য হাতি হত্যা

fec-image

লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের কুমারীপূর্ব চাককাটা এলাকায় বৈদ্যুতিক তারের ফাঁদ পেতে একটি বন্য হাতি হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে মৃত হাতিটিকে দেখে স্থানীয় জনসাধারণ বনবিভাগে খবর দেয়। লামা বনবিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, মৃত হাতিটির শুড়ে আঘাতের চি‎হ্ন রয়েছে। ফঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা এলাকায় গত ৪ নভেম্বর একটি বাগানে একই কায়দায় বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে আরেকটি হাতিকে হত্যা করা হয়েছিল বলে অভিযোগে জানা গেছে।

কুমারী চাককাটা এলাকার অধিবাসী ও চৌকিদার আলী আকবর জানান, হাতির আক্রমণ থেকে আমন ধান রক্ষা করার জন্য রাত জেগে লোকজন পাহারা দেয়। শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে সে সহ স্থানীয় লোকজন হাতির চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পেয়েছে। এ সময় হাতির পাল ছুটাছুটি করে বলে সে জানায়। শনিবার সকাল বেলায় সে সহ স্থানীয় লোকজন হাতি মারা যাওয়ার খবর পায় বলে সে জানায়। একই এলাকার অধিবাসী দেলোয়ার হোসেন জানান, বাগান এবং ধানখেত রক্ষা করার জন্য অনেকে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছেন। হাতিটি যে স্থানে মারা গেছে শনিবার ভোরে সেখান থেকে কাঁটাতারের বেড়া সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। অভিযোগ উঠেছে কাঁটাতারের বেড়ায় বৈদ্যুতিক সংযোগ দিয়ে হাতি হত্যা করার জন্য ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ফাঁদ তৈরি করা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপির সদস্য মোঃ আলমগীর চৌধুরী জানান, এভাবে ফাঁদ তৈরি করে হাতি হত্যা অব্যাহত থাকলে এই বন্য প্রাণীটি একসময় হারিয়ে যাবে। হাতিটি যেই জায়গায় মারা হয়েছে সেখান থেকে আধা কিলোমিটার উত্তরে পাশ্ববর্তী চকরিয়ার ঘুনিয়া এলাকায় কিছুদিন পূর্বে দুটি হাতিকে মারা হয়েছে। আবার ইয়াংছা এলাকায় কিছুদিন পূর্বে আরেকটি হাতিকে হত্যা করা হয়েছে।

লামা সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, মৃত হাতিটি বৈদ্যুতিক ফাঁদ তৈরি করে হত্যা করা হয়েছে বলে তাকে স্থানীয় অনেকে জাানিয়েছেন। মৃত হাতিটির বয়স আনুমানিক ৩ বৎসর হবে। ময়না তদন্ত করার জন্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন