সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত মাটিরাঙ্গা

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ এগিয়ে আসায় আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজারে ১০ নং মহা বিপদ সংকেত ও পার্বত্য চট্টগ্রাম তথা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবন ও তৎ সংলগ্ন এলাকায় ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলার পর সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার প্রস্তুতি হিসেবে সবরকমের সতর্ক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা ডেজি চক্রবর্তী বলেন, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে আশ্রয়নকেন্দ্র খোলা হয়েছে। ইউনিয়ন, পৌরসভা, উপজেলার ঝুঁকিপুর্ণ এলাকায় সতর্কতা জারি করে মাইকিং করা হয়েছে। এছাড়াও যুব রেডক্রিসেন্ট টিম প্রস্তুত রয়েছে।
মাটিরাঙ্গা সেনা জোন সূত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় রেখে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলায় সেনাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।
পলাশপুর (৪০ বিজিবি ) জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল সোহেল আহম্মেদ পিএসসি বলেন, পলাশপুর জোনের অধীন সকল বিওপি এলাকায় সতর্কতা জারি করে মাইকিং করা হয়েছে। বিশেষ করে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরতদের নিরাপদে সরে আসার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় কন্ট্রোল সেল খোলা হয়েছে। ১ হাজার জন লোকের শুকনো খাবার প্রস্তুত ও ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় বিশেষ প্লাটুন প্রস্তুত রয়েছে।
যামিনীপাড়া জোন (২৩বিজিবি ) সূত্র জানিয়েছেন, আওতাধীন এলাকায় সতর্কতা জারি করে মাইকিং করা হয়েছে । ঘূর্ণিঝড়সহ সব ধরনের দুর্যোগ মোকালোয় ২৩ বিজিবি প্রস্তুত রয়েছে।
মাটিরাঙ্গা থানা অফিসার ইচার্জ (অসি ) মো. জাকারিয়া বলেন, উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় রেখে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের বিশেষ টিম প্রস্তুত রয়েছে। দুর্যোগ চলাকালীন সবধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে ‘মোখা’ মোকাবেলায় সবধরনের প্রস্তুতি রয়েছেন বলে জানিয়েছ মাটিরাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ইনচার্জ জীবক কান্তি বড়ুয়া।