সরকারের ঘোষণা উপেক্ষা করে উখিয়া-টেকনাফ সীমান্তে ইয়াবার চালান
সরকার ইয়াবা ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স ঘোষণা করলেও তা মানছেনা কতিপয় ইয়াবা ও মাদক ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে উখিয়া-টেকনাফে আশ্রিত রোহিঙ্গারা এখন জড়িয়ে পড়েছে ইয়াবা ও মাদক পাচারে। স্থানীয় সিন্ডিকেটের সাথে হাত মিলিয়ে তারা এ সব ব্যবসা অব্যাহত রেখেছে।সম্প্রতি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃক দেশব্যাপী ডিজিটাল প্রচারণার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান জিরো টলারেন্স বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
এ সময় তিনি আরো বলেন, সরকার মাদক নির্মূলে এর ক্ষতিকারক দিকের বিষয়ে সতর্কতা, সরবরাহ ও চাহিদা বন্ধে কাজ করছে। এ জন্য আইন সংস্কার করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি জানান, মাদক সামাজিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করে। পাশাপাশি জঙ্গি অর্থায়ন ও মানিলন্ডারিং এর সাথে মাদকদের চোরাচালান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত বলে জানান মন্ত্রী। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ইয়াবা ও মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের কড়াকড়ি আরোপের পরও সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন নিয়ে আসছে ইয়াবা ও মাদক। সীমান্তরক্ষী বাহিনী অথবা আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার হাতে গুটি কয়েক চালান আটক হলেও বৃহৎ চালানের অংশ পাচার হয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। এত কিছুর পরও মাদকের চালান বন্ধ না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্থানীয় সুশীল সমাজ।
সু-শাসনের জন্য সু-নাগরিক (সুজন) এর উখিয়ার আহবায়ক সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, আমরা মনে করছিলাম রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারনে ইয়াবা ও মাদকের চালান বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু এখন দেখতেছি তার বিপরীত। আগের তুলনায় পাচার আরো বেড়েছে মনে মন্তব্য করেন তিনি। এসব বন্ধে সরকারের আইনশৃংখলাবাহিনীকে আরো আন্তরিকতার সহিত দায়িত্ব পালনের আহবান জানান তিনি।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের বলেন, সরকারের জিরো ট্রলারেন্স নীতি অনুসরণ করে আমরা মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছি। যার ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যে বেশ কিছু ইয়াবা ও মাদকের চালান আটকসহ পাচারকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। সমাজ থেকে মাদক নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন।