হতে পারেন প্রচ্ছদ শিল্পী
রবিউল কমল
কাভার বা প্রচ্ছদ ডিজাইন করা সৃষ্টিশীল মানুষের কাজ। তাই আপনি যদি সৃষ্টিশীল হয়ে থাকেন বা কল্পনা শক্তি যদি মোটামুটি ভালো হয়ে থাকে তাহলে আপনি আপনার ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন কাভার ডিজাইনার হিসেবে। একটা বইয়ের প্রচ্ছদ হলো এমন একটি জিনিস যা অনেকদূর হতে পাঠককে আকৃষ্ট করে। তাই প্রচ্ছদ করার আগে পুরো বইটি নিয়ে ভাবতে হয়। প্রচ্ছদ বইয়ের জন্য কতটা জরুরি তার সহজ ব্যাখ্যা দিলেন প্রচ্ছদশিল্পী সব্যসাচী মিস্ত্রী। তার মতে, পুরো বইয়ের সহজ অভিব্যক্তি ফুটে ওঠে প্রচ্ছদে। লেখক বইটিতে যে ব্যাপারটি বোঝাতে চেয়েছেন তা এক পাতায় রং-তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলতে হয় প্রচ্ছদশিল্পীকে। কাজটা কঠিন! তবে এ কঠিন কাজটি করেন প্রচ্ছদ শিল্পীরা। এ কারণে লেখক বা প্রকাশকদের কাছে প্রচ্ছদশিল্পীর চাহিদা সবসময়ই আছে। বই সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে গেলে লেখকদের প্রথম যে প্রশ্নটি শুনতে হয় তা হলো ‘আপনার বইয়ের প্রচ্ছদ কে করছে?’ এ থেকে বোঝা যায় একজন প্রচ্ছদ শিল্পীর কতোটা কদর। তরুণদের বইয়ের প্রচ্ছদ করা প্রসঙ্গে প্রচ্ছদ শিল্পী ধ্রুব এষ বলেন, ‘তরুণ প্রচ্ছদশিল্পীরাও অনেক ভালো কাজ করছেন, এ পেশায় আগের চেয়ে সম্মান ও সম্মানী দুই-ই বেড়েছে। তাই প্রচ্ছদ শিল্পীদের কদর আর একুশে বইমেলা কেন্দ্রিক নয়। বছরজুড়েই বই প্রকাশ হয়। এজন্য তাদের বছরজুড়েই কাজ থাকে।’
অনেকের ধারণা, একুশের বইমেলার সময়েই শুধু প্রচ্ছদ শিল্পীদের কদর বাড়ে। সারাবছর তাদের অবসর। যারা এ ধরনের চিন্তা করেন তাদের জন্য তরুণ কার্টুনিস্ট মেহেদী হক বলেন, ‘একজন প্রচ্ছদশিল্পী তো শুধু প্রচ্ছদ করেন না, প্রচ্ছদ ছাড়াও একটা বইয়ের অনেক কাজ থাকে। যেমন অলংকরণ ও কার্টুন আঁকার মতো কাজ রয়েছে। কাজ করতে জানলে সারা বছরই একজন প্রচ্ছদশিল্পীকে ব্যস্ত থাকতে হয়। সুযোগ রয়েছে পত্র-পত্রিকায় কার্টুন আঁকারও। শুধু বইমেলায় কাজ করবেন, এমন চিন্তা থেকে প্রচ্ছদশিল্পী হওয়ার দরকার নেই। এর ক্ষেত্রটা অনেক বড়।’
ভালো করার উপায়
ইন্টারনেটের যুগে এখন আর হাতে-কলমে কিছু শেখার নেই। গুগল বা ইউটিউবে অনেক টিউটোরিয়াল আছে গ্রাফিকসের উপর। এগুলোতে চোখ বুলালে সহজেই প্রচ্ছদ নিয়ে একটি স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যাবে। আর নতু কিছু পাওয়ার জন্য বড় ভা-ার গুগল তো রয়েছেই। এ প্রসঙ্গে ধ্রুব এষ বলেন, ভালো প্রচ্ছদ শিল্পী হতে চাইলে ভালো পাঠক হতে হবে। প্রচুর পড়তে হবে। কম্পোজিশনের ধারণা ও জ্ঞান থাকতে হবে। সবার ওপরে একটা শিল্পী মন থাকতে হবে। কারণ জোর করে বা ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রচ্ছদশিল্পী হওয়া যায় না। তার কথার সঙ্গে একমত পোষণ করেন সব্যসাচী মিস্ত্রীও। বইয়ের মুড বা ধরনটা বুঝতে হবে আগে। সেই অনুযায়ী লে-আউট করতে হবে। তারপর ফটোশপ বা অন্য কোনো সফটওয়্যারে ইফেক্ট ব্যবহার করে বা পা-ুলিপির ধরন অনুযায়ী প্রচ্ছদটা চূড়ান্ত করতে হবে।’ তবে যারা নতুন তারা অনায়াসে লেখক ও প্রকাশকের পরামর্শ নিতে পারেন।
শিখবেন নাকি? : প্রচ্ছদের কারিগর হওয়ার জন্য দেশে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। যাঁরা চারুকলার ছাত্র বা যাদের গ্রাফিকসে দখল আছে এবং তারা সৃজনশীল চিন্তা করতে পারেনÑ তারা অনায়াসে এঁকে ফেলতে পারেন প্রচ্ছদ। ধ্রুব এষ বলেন, ‘সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা অনুষদে এ বিষয়ে পড়াশোনা করা যাবে।’ এছাড়া গ্রাফিকস ডিজাইনের কোর্স করে একটা প্রাথমিক ধারণা নেয়া যাবে। মনে রাখতে হবে, প্রচ্ছদ গ্রাফিকস ডিজাইনেরই একটি অংশ। ফলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গ্রাফিকস ডিজাইন কোর্সে ভর্তি হলেই প্রচ্ছদ করা ও শেখা যাবে।
বিআইবিএমটিতে অনলাইনে আয়ের প্রশিক্ষণ
তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বিআইবিএমটিতে দুই মাস মেয়াদি অনলাইনে আয়ের প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি চলছে। দুই মাস মেয়াদি কোর্সটিতে জুমলা, ওয়ার্ডপ্রেস, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও), সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং, টেমপ্লেট ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ব্লগিং, অ্যাফিলিয়েটেড মার্কেটিং এবং গুগল এডসেন্স সম্পর্কিত বিস্তারিত বিষয়গুলো হাতে-কলমে শিখানো হবে। সফলভাবে কোর্স সম্পন্নকারীদের জন্য ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থাও রয়েছে।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ : বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব বিজনেস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি (বিআইবিএমটি), ১৯/সি/৬, এন. ইসলাম টাওয়ার ৪র্থ তলা, রিং রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।