অবশেষে মানিকছড়ি থানা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজে গতি এসেছে

fec-image

১৮ মাসে থানা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজ শেষ করার নির্দেশনা থাকলেও পৌনে ৫ বছরেও তা শেষ না হওয়ায় ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ডেড লাইন ঘোষণায় অবশেষে কাজে গতি এসেছে। মূল ঠিকাদারকে পাশে রেখে নতুন সাব ঠিকাদার দিয়ে কাজ দ্রুত শেষ করতে মাঠে নেমেছেন উন্নয়ন সংস্থা গণপূর্ত বিভাগ। ফলে গত দুই সপ্তাহে ভবণের কাজ ৭৫% থেকে প্রায় ৯০% এগিয়েছে।

সরেজমিনে জানা গেছে, বিগত ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে দেশব্যাপী ১০১টি থানা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করে গণপূর্ত অধিদপ্তর। ছয়তলার ভীতসহ চারতলা বিশিষ্ট মানিকছড়ি থানা ভবনের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা। মানিকছড়ি থানা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর মো. নাজির হোসেন এন্ড নাহিয়ান এন্টার প্রাইজ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয় গণপূত বিভাগ। আর এ কাজটিতে ঠিকাদারী করছেন জেবিল হোসেন রয়েল নামক জনৈক প্রভাবশালী ব্যক্তি। যাকে এ পর্যন্ত কাজের স্থলে দেখা যায়নি। কাজের শুরুতেই তার চরম উদাসিনতায় ১৮ মাসের কাজটি প্রায় ৫ বছরেও শেষ করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। এই দীর্ঘ সময়ে ঠিকাদার কাজ শেষ করেছিল মাত্র ৭৫%। আর এই সময়ে কাজে মন্থরগতির জন্য ঠিকাদার শোকজ পেয়েছেন ৫ বার। ফলে ৩০ জুন ডেড লাইন ঘোষণা করে ইতোমধ্যে চিঠি ইস্যু করেছে গণপূত বিভাগ।

শোকজের পাশাপাশি মূল ঠিকাদারকে আইনীবিধিতে রেখে নতুন সাব ঠিকাদার দিয়ে (বিকল্প ব্যবস্থায়) অবশিষ্ট কাজ শেষ করতে মাঠে নেমেছে গণপূর্ত বিভাগ। বিষয়টি স্বীকার করে খাগড়াছড়ি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফয়সাল হোসেন।

মানিকছড়ি থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহনূর আলম এ প্রসঙ্গে বলেন, থানা ভবণের অবশিষ্ট কাজ জোরদার করেছে নতুন ঠিকাদার। মূল ঠিকাদারের গাফিলতিতে মন্থরগতিতে চলা কাজ দ্রুত শেষ করতে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল আজিজসহ গণপূর্তের প্রকৌশলী বিকল্প ব্যবস্থায় চলমান কাজ চলছে। কাজের বর্তমান গতিতে মনে হচ্ছে ডেড লাইন অনুযায়ী যথা সময়ে মূল ভবণের কাজ শেষ হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন