অসাবধানতাবশত: জেলেরা সীমারেখা অতিক্রম করছে : কোস্টগার্ড


নাফ নদী এবং সাগরে নিরাপত্তা দেখভাল করে কোস্টগার্ড। নৌপথে কোস্টগার্ডের নিয়মিত টহল কার্যক্রমও চলে। কিন্তু এই টহল কার্যক্রমের মধ্যেই একের পর এক বাংলাদেশী জেলে কিভাবে নিখোঁজ হচ্ছেন কিংবা আরাকান আর্মি তাদের কিভাবে ধরে নিয়ে যাচ্ছে, সেটি একটি বড় প্রশ্ন।
বিবিসি বাংলাকে যদিও কোস্টগার্ড বলছে, বাংলাদেশের জলসীমা থেকে কেউ আটক বা নিখোঁজ হচ্ছে না।
কোস্টগার্ডের টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা তো আমাদের জলসীমায় কার্যক্রম পরিচালনা করি। বেশিরভাগ সময় দেখেছি, জেলেরা বাংলাদেশ-মিয়ানমার যে সীমারেখা আছে, সেই সীমারেখা অতিক্রম করার কারণে জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে বেশি মাছ ধরার আশায় অথবা অসাবধানতাবশত: তারা বাংলাদেশের সীমারেখা অতিক্রম করছে।’
কোস্টগার্ড এ কথাও বলছে, বাংলাদেশের জলসীমা ঘিরে টহল কার্যক্রম ‘আরো জোরদার করা হয়েছে’। কোথায় মাছ ধরা ঝুঁকিপূর্ণ সেগুলো জানানো এবং সীমান্ত রেখা অতিক্রম না করতে সতর্ক করা এবং কাউন্সেলিং করা হচ্ছে।
এরমধ্যেই গত ২৯ আগস্ট নাফ নদীর মোহনা ও সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২২ জন জেলেকে আটক করে কোস্টগার্ড। সেসময় বাহিনীর পক্ষ থেকে দেয়া বক্তব্যে জানানো হয়েছিল, এসব জেলেরা বাংলাদেশের সীমারেখা অতিক্রম করে মিয়ানমারের জলসীমায় ঢুকেছিলেন।
জেলেরা কেন মিয়ানমারের জলসীমায় ঢুকছেন?
জেলেদের কেউ কেউ যে বাংলাদেশের সীমারেখা পেরিয়ে মিয়ানমারের জলসীমায় ঢুকে পড়ছেন এর নানা কারণ আছে।
কোস্টগার্ড বলছে, অসাবধানতা এবং বেশি মাছ পাওয়ার আশায় এরকমটা ঘটছে।
তবে এর বাইরে আরো দু’টি কারণের কথা বলছেন জেলেরা। এর একটি হচ্ছে, নাফ নদীর মোহনায় নাইক্ষংদিয়া এলাকায় ডুবোচরের কারণে বাংলাদেশ অংশে পানির গভীরতা কমে গেছে। কিন্তু মিয়ানমারের জলসীমা ঘেঁষে পানির গভীরতা বেশি থাকায় অনেকে সেই পথ দিয়ে যাতায়াত করেন।
আরেকটি কারণ হচ্ছে, মাছ ধরার সময় তীব্র স্রোতে কখনো কখনো নৌকা ভেসে মিয়ানমারের অংশে চলে যায়।
টেকনাফ পৌর বোট মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ বলেন, ‘আগেও বিভিন্ন সময় বাস্তবতার কারণে এমনটা হয়েছে। কিন্তু তখন মিয়ানমার আটকায় নাই। এখন আরাকান আর্মি আসার পরে কড়াকড়ি শুরু করেছে।’