আদালতে পর্যটক দম্পতির জবানবন্দি

fec-image

কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে গণধর্ষণের ঘটনায় পর্যটক গৃহবধূ ও তার স্বামীকে আদালতে তোলা হয়েছে।

শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে তাদের কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হামীমুন তানজিনের আদালতে হাজির করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের এসপি মো. জিল্লুর রহমান।

তিনি বলেন, ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পর্যটক দম্পতিকে আদালতে তোলা হয়েছে। বিচারকের নিকট তারা ঘটনার বর্ণনা দেন। এর আগে তাদেরকে আমাদের মতো করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি।

এদিকে, গণধর্ষণের ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাতে সদর থানায় মামলা রয়েছে। মামলায় হোটেল ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। তিনি ছাড়া আর কোন আসামি গ্রেফতার হয়নি। ঘটনা তদন্তে মাঠে নেমেছে পুলিশ। তবে, ঘটনার পেছনে অনেক রহস্য লুকানো বলে জানাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা। যা সঠিক তদন্তে বেরিয়ে আসবে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অ্যাডিশনাল এসপি) মুহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনার মধ্যে অনেক ‘রহস্য’ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন।তিনি বলেন, তার বক্তব্যের সঙ্গে স্বামীর বক্তব্যের মিল নেই। পাশাপাশি এই গৃহবধূ গত কয়েক মাসের মধ্যে কক্সবাজার বেশ কয়েকবার এসেছেন। সুতরাং তাকে প্রাথমিক দৃষ্টিতে পর্যটক বলা যাচ্ছে না। কারণ এই মহিলা বারংবার কক্সবাজার আসার পেছনে অন্য রহস্য লুকিয়ে আছে।

এছাড়া ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ জানান, তিনি সাহায্যের জন্য পুলিশের জাতীয় সেবা ৯৯৯- নম্বরে ফোন দেন। পুলিশ তাকে জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার না করে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দেয়।

এরপর র‌্যাবকে ফোন করে জানালে র‌্যাব ১৫-এর একটি টিম এসে তাকে উদ্ধার করে। তার স্বামী ও সন্তানকে উদ্ধার করা হয় পর্যটন গলফ মাঠ এলাকা থেকে।

পুলিশ ধর্ষণের শিকার নারীকে উদ্ধারে এগিয়ে না আসা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কক্সবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ধর্ষণের সময় কিংবা ওইদিনে তারা ৯৯৯ নম্বরে ফোন আসেনি। আমি থানার অফিসারদের সঙ্গেও কথা বলেছি, তারাও জানিয়েছেন ৯৯৯-এ নারী ও তার স্বামী কেউ ফোন করেননি। ঘটনার সময় দায়িত্বরত থানার ডিউটি অফিসারও জানিয়েছেন, এমন ঘটনায় ৯৯৯ থেকে থানায় কোনো কল আসেনি। তা ছাড়া ৯৯৯-এ যে কেউ ফোন করলে সেটি রেকর্ড থাকে।

তিনি বলেন, আমি নিজে ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে কথা বলেছি ও তার স্বামীর সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বলেছেন ৯৯৯-এ ফোন করেননি। তার স্বামী বলেছেন, তিনি একটি সাইনবোর্ডে র‌্যাবের নম্বর দেখে সেখানে ফোন করেন।

৯৯৯ পুলিশের একটি জাতীয় সেবা উল্লেখ করে তাৎক্ষণিক বিপদগ্রস্তরা সহায়তার জন্য এ নম্বরে যে কেউ কল করলে ফোন পাওয়া মাত্র তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের একটি টিম সব সময় প্রস্তুত রাখা হয় জানান এসপি মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন