আন্তর্জাতিক নারী দিবসে হৃদয়ে বাঘাইছড়ির সভাপতি জয়া দে ও সম্পাদক এনবি চাকমা

fec-image

আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নারীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে বাঘাইছড়ি উপজেলার সামাজিক সংগঠন হৃদয়ে বাঘাইছড়ির প্রতিকী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে একদিনের জন্য দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে “জয়া দে ও এনবি চাকমা” কে।

হৃদয়ে বাঘাইছড়ির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সোহাগ এর স্বাক্ষরিত সংগঠনের প্যাডে একদিনের জন্য সভাপতি হিসেবে সংগঠনের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জয়া দে এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সদস্য এনবি চাকমা কে দায়িত্ব প্রদানের বিষয়টি প্রকাশিত হয়।

মাহমুদুল হাসান বলেন, এবছর আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে “টেকসই আগামীর জন্য, জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য”। এরই ধারাবাহিকতায় স্বেচ্ছসেবী সংগঠন হৃদয়ে বাঘাইছড়ির প্রতিকী দায়িত্ব প্রদানের মাধ্যমে আমরা বুঝানোর চেষ্টা করেছি জেন্ডার ইকুইটি বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারলে টেকশই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা সার্থক হবে। জয়া দে ও এনবি চাকমা দীর্ঘদিন ধরেই হৃদয়ে বাঘাইছড়ির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় কাজের দক্ষতা ও এক্টিভিটি তাদের যোগ্যাতার পুরস্কার স্বরূপ আমাদের এই উদ্যোগ।।

বাঘাইছড়ির সন্তান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী জয়া দে বলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবস ছোট বেলা থেকে শুনে আসছি তবে বর্তমানে পুরো বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশে এই দিবস টি সুন্দরভাবে পালন করা হচ্ছে এবং নারীদের কল্যাণে নানান আয়োজন করা হচ্ছে, তারই ধারাবাহিকতায় হৃদয়ে বাঘাইছড়ি আমাদের সম্মানিত করায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই আমার প্রিয় স্বেচ্ছসেবী পরিবার হৃদয়ে বাঘাইছড়ির প্রতি।

একই সাথে ঢাকা আইডিয়াল কলেজের ছাত্রী এনবি চাকমা বলেন, আমরা দুর্গম অঞ্চলে থেকে উপলব্ধি করি এখনো নারীরা অনেক অনেক পিছিয়ে বর্তমানে নারীদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সরকারী বেসরকারী অনেক সংস্থা। আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই হৃদয়ে বাঘাইছড়ির প্রতি আমাকে প্রতিকী দায়িত্ব প্রদানের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করার জন্য, ভবিষ্যতে আমি বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য কাজ করবো বলে দৃঢ় প্রত্যয়ী।

হৃদয়ে বাঘাইছড়ির কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা বাঘাইছড়ি উপজেলায় বসবাস করি এই এলাকাটি অত্যান্ত দুর্গম একটি এলাকা এখানের মানুষরা অনেক অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত যার ফলে আমরা হৃদয়ে বাঘাইছড়ির মাধ্যমে চেষ্টা করি পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের কল্যাণে কাজ করতে বিশেষ করে অস্বচ্ছল ও দরিদ্র পরিবারের নারীদের স্বাস্থ্য সেবা ও টেকশই শিক্ষা নিশ্চিত করতে। আমরা এই প্রতিকী দায়িত্ব প্রদানের মাধ্যমে নারী সমাজকে বুঝাতে চেয়েছি আপনারা কারো বোঝা নন আপনারা মাথা উচু করে চলার জন্য প্রস্তুত থাকবেন সর্বদা।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মলয় চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম বাঘাইছড়িতে একদম প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষদের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে আমরা উপলব্ধি করি যতদিন পর্যন্ত এই অঞ্চলের নারীদের সু-শিক্ষা ও সু চিকিৎসা নিশ্চিত করা যাবে না ততদিন পর্যন্ত আমরা জেন্ডার ইউকুইটি নিশ্চিত করতে পারবো না। আমরা স্বেচ্ছসেবী সংগঠন হৃদয়ে বাঘাইছড়ির মাধ্যমে দুজন নারীকে দায়িত্ব প্রদানের মাধ্যমে সকলের প্রতি আবেদন করছি নারীরা এখন পিছিয়ে থাকার জন্য নয় এগিয়ে যাওয়ার জন্য তারা প্রস্তুত।।

হৃদয়ে বাঘাইছড়ির এমন ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ নারীদের অনুপ্রাণিত করবে বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিকগণ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন