আলীকদমে সরকারি হাসপাতাল ও স্কুলের জমি বেদখল

fec-image

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় সরকারি জমি দখলের গতি থামছে না। বেদখল হয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মালিকানাধীন জমি।

আলীকদমে সরকারি প্রতিষ্ঠানের জমি দখলবাজি নিয়ে নানান অভিযোগ উঠলেও নির্বিকার প্রশাসন। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সরকারি কর্মচারী হিসেবে মাসিক ভাড়ার ভিত্তিতে পুরাতন সরকারি হাসপাতালে কোয়ার্টার বরাদ্দ নিয়ে এখন তা দখল করে আছেন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইয়াছিন শরীফ। অন্যদিকে, ভরিরমুখ বিদ্যালয়ের নামে রেকর্ডিয় জমি দখল করছেন স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। বিদ্যালয়ের জমিতে ঘরবাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার পুরাতন সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১০ শতক জমি অর্ধ যুগের বেশি সময় ধরে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মচারী ইয়াছিনের অবৈধ দখলে চলে গেছে। উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে কয়েক দফা উদ্যোগ নিয়েও কর্মচারীর কাছ থেকে জমি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অভিযোগ ওঠেছে, হাসপাতালের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইয়াছিন শরীফ ও তাঁর স্ত্রী সরকারি জমিটি কর্তৃপক্ষের কোনো বৈধ অনুমতি ছাড়ায় দখলে রয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে, তার খুঁটির জোর কোথায়?

অপরদিকে, ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ভরিরমুখ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামীয় ২৮৯ নম্বর চৈক্ষ্যং মৌজার ১২৮ নম্বর হোল্ডিংভুক্ত (পরবর্তীতে ১১৫ নম্বর খতিয়ানের দাগ নম্বর-৭০২) ১ একর ৬০ শতাংশ জমি থেকে ১ একর ২০ শতক জমি নিজেদের বেদখল হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্কুলের পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ, মাওলানা আবদুল মান্নান, মোহাম্মদ হোসেন গং। দখল করা জমিতে তাঁরা ঘরবাড়ি তৈরি, জমি বিক্রি ও কিছু জমিতে চাষাবাদ করছেন।

দেলোয়ার হোসেন নামে স্থানীয় একজন বাসিন্দা অভিযোগ করেন, স্কুলের জমি বেহাত হয়ে যাওয়ার বিষয়ে তাঁরা জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করেছেন। কিন্তু কোনো প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ নেননি।

স্থানীয় তৌহিদুল ইসলাম জানান, স্কুল পরিচালনা কমিটির নির্লিপ্ততার সুযোগে স্থানীয় দুজন স্কুল শিক্ষক এবং তাঁদের কয়েকজন আত্মীয়-স্বজন মিলে স্কুলের ১ একর ২০ শতক জমি দখল করে নিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন জানান, হাসপাতালের জমিটি বেদখল থেকে উদ্ধারে ইতোমধ্যে জেলা পরিষদ সদস্য দুংড়ি মং মামাকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটি রিপোর্ট দিলেই উচ্ছেদের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন