আয়ারল্যাণ্ডে বর্তমানে বছরে ৫০০ লোক ইসলাম গ্রহণ করছে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বর্তমানে আয়ারল্যান্ডে সবচেয়ে দ্রুত বিকাশমান ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। সূত্র মতে, ২০৪৩ সালের মধ্যে প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিষ্টানদের ছাড়িয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মাবলম্বী হবেন মুসলমানরা। ২০১১ সালে দেশটিতে মুসলমানের সংখ্যা ছিল ৪৯,০০০। কিন্তু ২০২০ সালের তা বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি অর্থাৎ অন্তত ১ লাখে উন্নীত হবে। আয়ারল্যান্ডে বছরে অন্তত ৫০০ লোক ইসলাম গ্রহণ করছেন।
আয়ারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের গণনা মতে, ১৯৯১ সালে আয়ারল্যান্ডে মুসলমানের সংখ্যা ছিল মোট জনসংখ্যার মাত্র ০.১ শতাংশ। ২০১১ সালে তা বেড়ে ১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে (মোট মুসলিম জনসংখ্যা ৪৯,০০০)। ২০২০ সালের আয়ার্যামন্ডে মুসলমানদের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি অর্থাৎ অন্তত ১ লাখে উন্নীত হবে।
মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, অভিবাসন, জন্মহার বৃদ্ধি এবং ইসলামে ধর্মান্তর। সেই সঙ্গে গড়ে উঠছে একের পর এক মসজিদ। উত্তর ডাবলিনে চলতি বছরই ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশটির সবচেয়ে বড় মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
সূত্র মতে জানা যায়, ক্লোনগ্রিফিন সেন্টারে নির্মিতব্য এই মসজিদটিতে একত্রে ৩,০০০ লোক নামায পড়তে পারবেন। এটায় থাকবে দুটো মিনার, নামাযের স্থান, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, অফিস, লাইব্রেরি, মরচুয়ারি, ৬০০ জন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন অনুষ্ঠান কেন্দ্র, স্কুল, ফিটনেস সেন্টার এবং অ্যাপার্টমেন্ট।
আয়শা নামের ইসলামে নবদীক্ষিত এক ৩৬ বছর বয়সী নারী নিজের ইসলাম গ্রহণের সম্পর্কে বলেন যে, ‘প্রায় ১২ বছর আগে আমি ইসলামের প্রতি আগ্রহী হই। আমার জীবনধারা অন্য ১০ জন আইরিশদের মত ছিল না। আমি নৈশক্লাবে যেতাম না, মদপান করতাম না। আমি ভাবতাম এমন একদল লোক আছে কিনা যারা নিভৃত জীবনযাপন করে।’ তিনি বলেন, অবশেষে ইসলামেই তিনি সব প্রশ্নের জবাব পান এবং তিন বছর আগে ইসলাম গ্রহণ করেন।
তিনি গত বছর মৌরিশাসের এক মুসলিম যুবককে বিয়ে করেন । আয়শা জানান, ইসলাম ধর্ম গ্রহণের তার পরিবার তাকে যথেষ্ট সহায়তা করেছে। তারা তাকে হিজাব ও পবিত্র কুরআন কিনে দিয়েছে। যদিও তার বাবা একজন গোড়া ক্যাথলিক। তিনি প্রতি রবিবার গির্জায় যান।
আয়শা বলেন, তার জীবন এখন শান্তিময়। তার ভাষায়, ‘ইসলাম অধিকতর শান্ত ও শান্তির জীবনধারা। এখানে ঐক্যের অনুভূতি তীব্র। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশই মুসলমান। তারা প্রতিদিন মক্কার কাবার দিকে মুখ করে নামায পড়ে। মেঝেতে মুখ রেখে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ একটা শক্তিশালী ও পবিত্র অনুভূতি। আমি কখনাই আমার শরীর প্রদর্শন করি না।’