ইমরান খানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড

fec-image

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আলোচিত সাইফার মামলায় মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দেশটির একটি আদালত এই রায় দেন।

একই মামলায় পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ইমরানের দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা শাহ মাহমুদ কুরেশিও ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে প্রতিষ্ঠিত একটি বিশেষ আদালত সাইফার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে এবং সেই নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে এই রায় ঘোষণা করা হলো। এছাড়া নির্বাচনকে সামনে রেখে পিটিআই দলটির ওপর রাষ্ট্রীয় দমনপীড়ন চলছে বরে অভিযোগ রয়েছে এবং নির্বাচনী প্রতীক ছাড়াই ইমরানের দল এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

দ্য ডন বলছে, সর্বশেষ এই রায়ের মাধ্যমে দ্বিতীয়বার দণ্ডিত হলেন ইমরান খান। এর আগে গত বছরের ৫ আগস্ট তোশাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে তিন বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার।

যদিও ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) পরে ইমরানের সেই সাজা স্থগিত করে। তবে পরে একটি ডিভিশন বেঞ্চ দোষী সাব্যস্ত করার বিরুদ্ধে ইমরানের আবেদন খারিজ করে দেয়। অন্যদিকে,সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশির বিরুদ্ধে এটি প্রথম রায়।

ডন বলছে, বিশেষ আদালতের বিচারক আবুল হাসনাত জুলকারনাইন মঙ্গলবার এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। শুনানির শুরুতে ইমরান এবং কুরেশিকে পাকিস্তান দণ্ডবিধির ৩৪২ ধারার অধীনে একটি প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছিল।

ইমরান তার বক্তব্য রেকর্ড করার পরে আদালত তাকে সাইফারের অবস্থান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। যার উত্তরে ইমরান বলেন: ‘আমি আমার বিবৃতিতে একই কথা বলেছি যে, আমি জানি না। সাইফার আমার অফিসে ছিল।’

এদিকে ইমরানের বিরুদ্ধে দেওয়া এই রায়কে জালিয়াতির বিচার বলে আখ্যায়িত করেছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে দেওয়া এক বিবৃতিতে পিটিআই বলেছে, পাকিস্তান ইমরান এবং কুরেশির সাথে আছে ‘যারা পাকিস্তানকে রক্ষা করেছিলেন এবং ‘হকীকি আজাদির’ পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ডোনাল্ড লু-এর নির্দেশে ২০২২ সালের মার্চ-এপ্রিলে যা ঘটেছিল তা এই ধরনের কোনও জালিয়াতির বিচার পরিবর্তন করতে পারে না। সাইফার মামলায় আইনকে সম্পূর্ণরূপে উপহাস এবং উপেক্ষা করা হয়েছে।’

বিবৃতিতে জনগণকে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। দলটি বলেছে, ‘আল্লাহর ইচ্ছায় কাপ্তান এবং ভাইস কাপ্তান শিগগিরই আমাদের মাঝে ফিরে আসবে এবং এই সাজাটি আপিল পর্যায়ে ডাস্টবিনে (নিক্ষেপ করা) হবে।’

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ইমরান খান, পাকিস্তান, বিশ্ব সংবাদ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন