ইমরান খানের ১০ বছরের কারাদণ্ড

fec-image

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর নেতা মাহমুদ কুরেশিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সরকারি গোপনীয়তা লঙ্ঘনের দায়ে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) তাদের প্রত্যেককে একই মেয়াদের কারাদণ্ড ‍দিয়েছেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এই খবর জানিয়েছে।

পিটিআইয়ের মুখপাত্র জুলফিকার বুখারি জানিয়েছেন, রাওয়ালপিন্ডির গ্যারিসন শহরের একটি কারাগারে এই রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।

পাকিস্তানে ৮ ফেব্রুয়ারি সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে এই রায়টি এসেছে। এবারের এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না ইমরান খান। কেননা, ২০২২ সালের এপ্রিলে সংসদে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর একটি দুর্নীতির মামলায় বর্তমানে তিন বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন তিনি।

মঙ্গলবারের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারেন ইমরান খান।

ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও সমর্থকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা এবং সেনাবিরোধী বক্তব্যের কারণে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে রয়ে গেছেন ইমরান খান। সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর দাবি, তার বিরুদ্ধে করা আইনি মামলাগুলো মূলত ভোটের আগে তাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার একটি চক্রান্ত।

২০২৩ সালের মে মাসে ইমরানকে গ্রেফতারে পর থেকে সহিংস বিক্ষোভ দেখেছে পাকিস্তান। এরপর থেকেই তার সমর্থক ও দলের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

পাকিস্তানের স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন বলেছে, ‘প্রাক-নির্বাচন কারচুপির’ কারণে আগামী মাসে অবাধ ও সুষ্ঠু সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা কম।

সংস্থাটির আশঙ্কা, ইমরান এবং তার দলের জ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের প্রার্থীতা প্রত্যাখ্যান করতে পারে কর্তৃপক্ষ।

২৩ অক্টোবর রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘনের মামলায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট তিন বছরের কারাদণ্ড স্থগিত করলেও মুক্তি পাননি তিনি। এই মামলায় তাকে কারাগারে রাখা হয়েছিল। এবার কারাগারেই মামলাটির রায় দেওয়া হলো।

গত বছর ওয়াশিংটনের পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত ইসলামাবাদে একটি গোপন নথি পাঠিয়েছিলেন। ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি এটি প্রকাশ করে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তার আইন লঙ্ঘন করেছেন। তবে তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

পিটিআই দাবি করছে, এই নথিতে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি রয়েছে। একই মামলায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকেও আসামি করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ইমরান খান, পাকিস্তান
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন