ঐতিহ্যবাহী কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয় ৩৫ বছর যাবৎ শিক্ষার আলো দিয়ে আসছে

Had master

কাপ্তাই প্রতিনিধি:

কাপ্তাই উপজেলার প্রধান সড়কের পাশে মনোরম পরিবেশে ঐতিহ্যবাহী কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়টি দীর্ঘ ৩৫ বছর যাবৎ শিক্ষা-দীক্ষা, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানের আলো দিয়ে আসছে। ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষার্থী আজ দেশের উচ্চ পর্যায়ে কর্মরত রয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকেই যুগ্নসচিব, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ, কর্মকর্তা, সাংবাদিক, উকিল, শিক্ষকসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।

প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফল ও শিক্ষাদীক্ষায় উপজেলা, জেলাসহ বিভাগীয় পর্যায়ে মান রক্ষা করে চলছে। বিদ্যালয়টিতে ১৪ জন শিক্ষক, অভিভাবক কমিটি, শিক্ষা অনুরাগী, সচিব ও চেয়ারম্যানমিলে সকলের প্রচেষ্টায় প্রায় সাতশত শিক্ষার্থীদের পড়ালেখাসহ বিভিন্ন ক্রীড়া কার্যাক্রমে ভাল ফল লাভের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হোসেন বলেন, আমার ইচ্ছা এ বিদ্যালটিকে উপজেলার মধ্যে একটি মডেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা। তবে আমাদের বিদ্যালয়ের প্রধান সমস্যা হল বিদ্যালয়ের মাঠের মধ্যে দিয়ে রাত-দিন সাধারণ মানুষের যাতায়াতের কারনে শিক্ষার্থীরের পড়ালেখা বিঘ্নিত হচ্ছে। সাধারণ লোকেরা বিদ্যালয় মাঠ দিয়ে চলাচল করায় অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী পরিবেশের দোহাই দিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। এছাড়া অনেক শ্রেণিকক্ষে ফাঁটল দেখা দিয়েছে, চুনের কাজ করা প্রয়োজন, বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশের ক্লাসরুমের টিনসেড নষ্ঠ হওয়ার ফলে ক্লাস করার সময় পানি পড়ে পড়ালেখার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, প্রশাসনসহ সরকারের সহযোগিতা ও বরাদ্দপেলে এ স্বনামধন্য বিদ্যালটি ভাল ফলাফলের ক্ষেত্রে অনেক মেধার সাক্ষার রাখবে। সেই সাথে বিদ্যালয়ের সকলের প্রচেষ্টায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বদ্বপরিকার বলে জানান তিনি। এ বছর কাপ্তাই উচচ বিদ্যালয়ে জেএসসি ভাল ফলাফল অর্জন করেছে। পাশের হার ৮৪.৪৪% এবং দুজন জিপিএ ৫ অর্জন করেছে। আগামী বছরগুলোতে সকলের প্রচেষ্ঠায় আরো ভাল ফলাফল অর্জন করার কথা তিনি উল্লেখ করেন। প্রধান শিক্ষক সর্বশেষ বলেন, আমার একটি স্বপ্ন আছে সকলের সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের সামনে উন্নত মানের একটি ফটক নির্মাণ করা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন