কক্সবাজারে করোনা রোগী বলে শনাক্ত সেই মুসলিমা খাতুন আসলে করোনা রোগী নয়

fec-image

কক্সবাজারের রত্নগর্ভা মা মুসলিমা ও তার পরিবারের সবাই করোনা রোগমুক্ত। পরীক্ষায় তাদের সকলের কোভিড-১৯ নেগেটিভ পাওয়া গেছে । আসলে মুসলিমা খাতুন করোনা রোগী নয় এ্যজমা রোগী। স্বজনদের পক্ষ থেকে এ নিয়ে কোন প্রকার আতঙ্কিত না হওয়ার
আহ্বান জানানো হয়।

কক্সবাজারের খুটাখালীর মুসলিমা খাতুন (৭৮) কে ইতোপূর্বে কক্সবাজারের প্রথম ও একমাত্র করোনারোগী বলে সনাক্ত করা হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল। এনিয়ে গোটা কক্সবাজারে এক প্রকার আতঙ্কও ছড়িয়ে পড়েছিল। কক্সবাজারে একজন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে, না জানি আরো কত করোনা রোগী আছে এখানে বা করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে দ্রুত। আতঙ্কটা এমনিই ছিল।

এই আতঙ্ক কাটাতে কত সতর্কতা নিতে হয়েছে। ওই রোগীর সংস্পর্শে আসা পরিবারের সবাইর স্যাম্পল পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের অবস্থানের কারণে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও খুটাখালীতে লকডাউন করা হয়েছে ৪/৫ টি বাড়ি। তাঁকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের চিকিৎসা দেয়ায় ১০ জন ডাক্তারসহ ২১ জনকে হোম কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়েছে। বলতে গেলে গোটা কক্সবাজার করা হয়েছে লকডাউন

পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য মুলিমা খাতুনকে ঢাকার বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে ২য় বার পরীক্ষার পর তার শরীরে কোভিড-১৯ নেগেটিভ আসে।

এমনকি তাঁর সাথে থাকা মেয়ে শাফিয়ার ও নেগেটিভ। তাঁর ছেলে প্রিন্সিপাল সোলাইমান, ঢাবি অধ্যাপক রেজাউল করিম, কক্সবাজার জজ কোর্টের সিনিয়র এডভোকেট হেফাজতুর রহমান, ব্যাংক অফিসার হারুন-উর-রশিদ ও মকসুদসহ প্রত্যেকের রিপোর্ট নেগেটিভ পাওয়া গেছে।

মুসলিমা খাতুনের স্বজনদের কথা হলো সন্দেহজনক রিপোর্টের উপর অনেক গুজব ছড়ানো হয়েছে। আল্লাহর মেহেরবাণীতে তাদের গোটা পরিবার করোনা মুক্ত। গুজব নির্ভর রিপোর্টের উপর অনেকেই সন্দেহ পোষণ করেছিলেন। আতঙ্ক ছড়িয়েছেন। তারা মুসলিমা খাতুনের বিষয় নিয়ে অহেতুক আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানান।

তাঁর এক স্বজন বলেন, ‘ডাক্তার শফি একটা স্ট্যাটাসে কমেন্ট করেছিলেন, তিনি এজমা ও হাঁপানি রোগ নিয়ে হজ করতে গিয়েছিলেন। ফিরে এলে গুজব ছড়ালো করোনা রোগের। উনার কথাই সত্যি হলো’।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজারে, করোনা রোগী
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন