মানিকছড়িতে করোনায় নিলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে যুব রেড় ক্রিসেন্ট সোসাইটি
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জনগণকে সচেতন করে তুলতে প্রচার-প্রচারণা, লিফলেট বিতরণ, গাড়ি, পথচারী ও উপজেলাধীন বিভিন্ন বাজারে স্প্রের মাধ্যমে জীবাণুনাশক ঔষধ ছিটানো এবং উপজেলা প্রশাসনের কাজে সহযোগিতা করাসহ বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে খাগড়াছড়ি জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মানিকছড়ি ইউনিট।
আমরা দৃশ্যমান শত্রুদের মোকাবেলা করার কথা অনেকেই জানি। কিন্তু বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আমাদের অদৃশ্য শত্রু। যা দেখা যায় না। এ করোনাভাইরাস শুধু সংক্রমিত ব্যক্তির মাধ্যমে তা অন্যের গায়ে ছড়িয়ে পড়ে। তাই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংষ্পর্শ এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।
ইতোমধ্যে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে লকডাউন। বর্তমানে মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। তাছাড়া বিশ্বে প্রায় ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
দিন দিন মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। মানুষের মাঝে যখন আতংক বিরাজ করছে ঠিক তখনই করোনাভাইরাস নামক অদৃশ্য শত্রুদের মোকাবিলা করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মানিকছড়ি ইউনিট।
তবে ইতোমধ্যে তাদের কার্যক্রমের প্রশংসা করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন, ইউএনও তামান্না মাহমুদসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
তবে তাদের কোন পিপিই না থাকায় তাদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। তারা মাস্ক ও তাদের নির্ধারিত রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যে পোশাক রয়েছে তা পড়েই করোনা মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছেন।
এমতাবস্থায় পিপিই ব্যবস্থা করার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে মর্মে জানিয়েছেন উপজেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মানিকছড়ি ইউনিটের একাধিক সদস্যরা।
তারা বলেছেন যদি পর্যাপ্ত পিপিই এর ব্যবস্থা করে দেয়া হয় তাহলে কাজের গতি আরও বেড়ে যাবে এবং কাজ করতে সুবিধা হবে।
মানিকছড়ি উপজেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যুব প্রধান মো. আশ্রাফুল আলম জানান, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি যে কোন দুর্যোগকালীন সময়ে মানুষের পাশে থেকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
বর্তমানে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আমাদের জনসচেতনতার পাশাপাশি বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সরঞ্জাম না থাকায় স্বাস্থ্যের ঝুঁকি রয়েছে।
তবে ঝুঁকির মধ্য দিয়েও আমরা নিরলসবাবে কাজ করে যাচ্ছি। তবে কিছু পিপিই বা নিরাপদ পোশাকের ব্যবস্থা থাকলে কাজের পরিধি আরও বাড়ানো যেত।