কক্সবাজারে প্রার্থীদের গণসংযোগ শুরু
কক্সবাজার প্রতিনিধি:
আসন্ন কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীদের প্রচার জমে উঠেছে। প্রতীক পাওয়ার পর প্রথমদিনেই রাজনৈতিক দলের প্রার্থীসহ বিভিন্ন প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের গণসংযোগ শুরু করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বুধবার (৪ জুলাই) পৌর নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পর পরই নির্বাচনী হাওয়ায় গতি বেড়েছে। এতদিন সম্ভাব্য প্রার্থীরা ঘরোয়াভাবে কার্যক্রম চালালেও প্রতীক বরাদ্দের পর হঠাৎ যেন হাওয়া বদলে গেছে। প্রার্থীরা প্রতীকসহ মাইকে প্রচারের পাশাপাশি গণসংযোগও শুরু করেছে।
কক্সবাজার পৌর নির্বাচন উপলক্ষ্যে বুধবার সকালে দলীয় প্রতীক পেয়েই মেয়র প্রার্থী ১৪ দলীয় জোটের আওয়ামী লীগ মনোনীত মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী নাগরিক ঐক্যের মনোনিত সরওয়ার কামাল (নারিকেল গাছ), বিএনপির রফিকুল ইসলাম (ধানের শীষ), জাতীয়পার্টির রুহুল আমিন সিকদার (লাঙ্গল) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র জাহেদ আনোয়ার (হাতপাখা) নির্বাচনী প্রচার ও জনসংযোগে নেমে পড়েন।
সকল প্রার্থীই কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রতীক পেয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর থেকে গণসংযোগ ও নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। অনেকে নির্বাচনী প্রচারে জোরেশোরে নামার আগে কৌশল, পরিকল্পনা ও ছক নিয়ে তাদের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শিমুল শর্মা জানান, বুধবার সকাল ১০টা থেকে জেলা নির্বাচন অফিসের সম্মেলন কক্ষে স্থাপিত রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া শুরু হয়।
সকাল ১০টা থেকে প্রথমে মেয়র প্রার্থী এবং পরে সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ও সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করেন। ক্রমানুসারে ৫ মেয়র, ৮৩ সাধারণ আসনের কাউন্সিলর ও ১৬ জন সংরক্ষিত আসনের (মহিলা) কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার কাজ শুরু করা হয়।
এর পূর্বে রিটার্নিং অফিসার প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে নির্বাচনী আচরণবিধিসহ নানা নির্বাচন সংক্রান্ত নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন।
প্রার্থীরা বলেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন, ক্ষমতার প্রভাব, তালিকাভুক্ত চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাস দমনসহ পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে সর্বদা কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
সকল প্রার্থীদের জন্য নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বাস্তবায়নে সর্বদা তৎপর থাকতে হবে। ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে নিরপেক্ষ পরিবেশ সৃষ্টি এবং কালো টাকার ছড়াছড়ি হলে তা বন্ধ করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করারও অনুরোধ জানানো হয়।