কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের প্রচণ্ড ধূলাবালি ও দীর্ঘ জ্যাম জনজীবনে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে

fec-image

কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়ক এখন বিলীন প্রায়, চলছে সড়কের পুনঃ সংস্করণ। সঙ্গত কারণে সড়ক থেকে উপড়ে ফেলা হচ্ছে পিচ। অনেক স্থানে সড়কের পিচ উপড়ে ফেলা হয়েছে ইতিমধ্যে। প্রায় অর্ধ শূন্য পিচের সড়কটি ধুলোবালি ও ছোটবড় অনেক গর্তে পরিপূর্ণ এখন।

দিনের বেলায় প্রচণ্ড ধূলোবালির আক্রমণে চালক, যাত্রী, পথচারী, চাকুরীজীবী, শিক্ষার্থী, শিশুসহ সাধারণ মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এটি একদিকে যেমন মানুষের নাক দিয়ে ঢুকে শরীরে সঞ্চারিত হয়ে মানুষকে অস্বাস্থ্যকর করে তুলছে ঠিক তেমনই অন্যদিকে পরিবেশের উপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করছে।

আবার রাতের বেলায় হালকা কুয়াশায় অসতর্ক চালক ভুলে গর্তে নামিয়ে দেয় গাড়ি। অনেক সময় সতর্কবান চালকদেরও ভারি মাল বোঝাই গাড়ি গর্তে পড়ে যায়। সড়কের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে এরকম অনেক গাড়ি বহুবার আটকে পড়তে দেখা যায়।

এটি একটি জ্যাম সৃষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ বলে দাবি করছেন সচেতনরা। জ্যামের কারণে সাধারণ জনতা, বিভিন্ন শ্রেণির পেশাজীবী, পর্যটক ও উদেশ্য সফলকামী লোকজন তাঁদের গন্তব্যস্থলে সঠিক সময়ে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। যেমন গভীর রাতে ঢাকা টু টেকনাফ ও টেকনাফ টু ঢাকাগামী ট্যুরিস্ট বাস, বানিজ্যিক ট্রাক এবং টেকনাফ টু কক্সবাজার, কক্সবাজার টু টেকনাফগামী অসংখ্য গাড়ি চলাচল করে। ফলে এই সড়কে জ্যাম হওয়ার আশঙ্কা প্রতিমুহূর্তে।

তাছাড়া ইজিবাইক, টমটম, সিএনজি, মাইক্রো, বাস ও মটর চালিত বিভিন্ন ধরনের ছোটবড় গাড়ি এই সড়কেই চলাচল করে। এছাড়াও উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থাকার সুবাদে প্রতিদিন এনজিওর শতশত গাড়ি এই সড়ক দিয়ে চলে।

এক লেনের এই সড়কে দৈনিক অসংখ্য-অগণিত গাড়ি চলাচল করে। ব্যাপকহারে ছোটবড় গাড়ির সংখ্যা চাহিদা অনুযায়ী বেড়ে যাওয়ায় জ্যাম সৃষ্টি হয় বলে মনে করেন সচেতন মহল। তবে আরও অনেকেই এবিষয়ে বিশ্লেষিত মতামত পোষণ করে বলছেন,”জ্যাম একটি মানবসৃষ্ট দুর্যোগ। মূলত মানুষের ভুল, চরম অশিক্ষা ও অসচেতনতায় সড়কে জ্যাম, আরও অন্যান্য জটিলতা এবং নানারকম সমস্যার জোট বাঁধে।”

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন