কক্সবাজার শহর ১৮ দলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

18

স্টাফ রিপোর্টার :

কক্সবাজার শহর ১৮ দলীয় ঐক্যজোটের উদ্যোগে শনিবার কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি শহরের ফজল মার্কেট চত্ত্বর থেকে শুরু করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রুমালিয়ারছড়া এলাকায় এসে সমাবেশে মিলিত হয়।

শহর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যজোটের জেলা সভাপতি মাওলানা নুরুল আলম আল মামুন। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, সরকার ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও চেতনাকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। জনগণ পাতানো, ষড়যন্ত্র ও ভাঁওতাবাজির নির্বাচনকে প্রতিহত ও বর্জন করেছে। কথিত ষড়যন্ত্রের নির্বাচন বাস্তবায়নের জন্য সারাদেশে প্রায় অর্ধশত মানুষকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু জনগণ ডিজিটাল কারচুপির এ নির্বাচন কখনোই মেনে নেবে না বরং গণবিরোধী ও ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলবে।

তিনি সরকারকে প্রহসন ও তামাশার নির্বাচন বাতিল ও অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগের আহ্বান জানান। অন্যথায় আওয়ামী লীগকে এজন্য চরম মূল্য দিতে হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন ।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যে কঠোর হবার ভয় দেখাচ্ছেন, তা কি দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষের বিরুদ্ধে? নির্বাচনের পূর্বেও তো ভয় দেখিয়েছিলেন। তাতেও জনগণ সাড়া দেয়নি। জনগণকে বার বার ভয় দেখাবেন না। জনগণ আপনাদের শুধুমাত্র একবার চুড়ান্ত ভয় দেখিয়ে দেবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কক্সবাজার জেলার নায়েবে আমীর মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিবিসি, আলজাজিরা, দ্য ইকোনমিস্ট, রয়টার্স ও সিএনএনসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনকে অগ্রহণযোগ্য ও অদ্ভুত নির্বাচন হিসেবে উল্লেখ করেছে। জাতিসংঘ, কমনওয়েলথ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ফ্রান্স ও জার্মানি পাতানো নির্বাচনে হতাশা প্রকাশ করেছে এবং রাজনৈতিক সংকট উত্তরণের জন্য নতুন নির্বাচনের তাগিদ দিয়েছে। এরপরও ক্ষমতার মোহে অন্ধ সরকার তামাশার নির্বাচনকে বৈধতা দেয়ার জন্য জনগণের ওপর দলন-পীড়ন, হত্যা, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য চালাচ্ছে। কিন্তু জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে অতীতে কোন স্বৈরাচারের শেষ রক্ষা হয়নি, আওয়ামী লীগেরও হবে না।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যজোটের জেলা সেক্রেটারী মাওলানা ইয়াছিন হাবীব, কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী জি.এম রহিমুল্লাহ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি মাওলানা মো: আলমগীর, জামায়াতের শহর সেক্রেটারী আলহাজ্ব সাইদুল আলম, এসি. সেক্রেটারী আব্দুল্লাহ আল ফারুখ, ইসলামী ঐক্যজোট নেতা মো: নায়েম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কক্সবাজার জেলা সেক্রেটারী মাহফুজুল করিম, প্রমূখ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন