‘করোনা’র দূর্যোগ মোকাবেলায় মানিকছড়িতে ত্রাণ ও শুকনা খাবার বিতরণ

fec-image

বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি ‘করোনাভাইরাস’ প্রতিরোধে দেশব্যাপি অঘোষিত ‘লকডাউন’ চলছে। অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ বন্ধসহ জনগণ বাসাবাড়িতে অনেকটা গৃহবন্ধী রয়েছে। এ অবস্থায় জনভোগান্তির কথা চিন্তা করে ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রানালয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর র মাঝে ত্রাণ ও শুকনা খাবার বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে।

রোববার (২৯ মার্চ) দুপুরে মানিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন তৃণমূলে দরিদ্র পরিবারে ত্রাণ ও শুকনা খাবার বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে। এছাড়া পুলিশও নিজ উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শুকনা খাবার ও চাল বিতরণ করেছেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার দেশব্যাপি অঘোষিত ‘লকডাউন’ জনসমাগম এড়াতে প্রশাসনিক কড়াকড়ি থাকায় জনপদে লোকজন অনেকটা গৃহবন্ধি অবস্থায় দিনাতিপাত করছে।

এমতাবস্থায় জনপদে খাবার সংকটের আশংকায় ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রণালয় ত্রাণ ও শুকনা খাবার বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। ফলে ২৯ মার্চ দুপুর সাড়ে ১২ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না মাহমুদ ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন উপজেলার তৃণমুলে গিয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে(প্রতি ওয়ার্ডে ২৫/২৬ পরিবার) ১০ কেজি চাউল, ৫শ গ্রাম ডাল, ৫ শ গ্রাম তৈল, ৫শ গ্রাম লবণ, ১টি সাবান, ১ কেজি আলু, ১ কেজি পেঁয়াজ বিতরণ শুরু করেছেন।

প্রথমে উপজেলা ১ নং মানিকছড়ি ইউপি’র ১ ও ২ নং ওয়ার্ডের ৫০ পরিবারের মাঝে কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন, ইউএনও তামান্না মাহমুদ, পিআইও মো. কামাল উদ্দিন।

এছাড়া এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সদর ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, যুবলীগ সভাপতি মো. সামায়উন ফরাজী সামু, ইউপি সদস্য মো. মোশারফ হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. জামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক চহ্লাপ্রু মারমা নিলয় প্রমুখ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না মাহমুদ এ প্রসঙ্গে বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে জরুরী প্রয়োজন ব্যতিত ঘরের বাইরে চলাফেরায় প্রশাসনিক বিধি-নিষেধ থাকায় জনপদে যাতে খাদ্য সংকট না হয় সেকারণে সরকার দরিদ্রদের মাঝে ত্রাণ ও শুকনা খাবার বিতরণের উদ্যোগ গ্রহন করেছে।

আপাদত প্রতি পরিবার ১০কেজি চাউল, ৫শ গ্রাম ডাল, ৫শ গ্রাম তৈল, ৫শ গ্রাম লবণ, ১টি সাবান, ১ কেজি আলু, ১ কেজি পেঁয়াজ হারে মোট ১ হাজার পরিবারের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে।

এদিকে মানিকছড়ি থানার উদ্যোগে উপজেলা যোগ্যাছোলা ও তিনটহরী এলাকায় ৩ কেজি চাউল, ৩ কেজি আলু, ১কেজি ডাল, ১ কেজি লবণ, ১টি সাবান, ১টি মাক্স বিতরণ উদ্বোধন করেছেন সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও অফিসার ইনচার্জ আমির হোসেন।

অফিসার ইনচার্জ আমির হোসেন জানান, উপজেলার কিছু সংখ্যক অসহায় পরিবারের মাঝে পুলিশের পক্ষ থেকে এভাবে ত্রাণ ও শুকনা খাবার বিতরণ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস, মানিকছড়ি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন