কল্পনা চাকমা অপহরণে জড়িতদের দ্রুত বিচার আইনে আনার দাবি জানালেন পঙ্কজ ভট্টাচার্য
স্টাফ রিপোর্টার:
কল্পনা চাকমা অপহরণ ঘটনার ১৯ বছর পূর্তিতে আজ শুক্রবার বিকেলে হিল উইমেন ফেডারেশনের নেতৃত্বে ১৮টি পাহাড়ি ও উপজাতীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হন।
অবিলম্বে কল্পনা অপহরণ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ, আসামীদের গ্রেফতার করে দৃশ্যমান অগ্রগতি সাধন, উপজাতীয় মহিলাদের প্রতি সহিংসতা বন্ধ এবং সামাজিক নিরাপত্তা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, ‘চিহ্নিত শক্তির চিহ্নিত ব্যক্তিদের গ্রেফতার না করে এ কথা প্রমাণ করা হয়েছে, রাষ্ট্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে দূরে সরে গেছে। এই চেতনা ফিরিয়ে আনতে হলে মুক্তিযুদ্ধের মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ফিরে আসতে হবে। পুলিশের সর্বোচ্চ কর্তা যখন পহেলা বৈশাখের ধর্ষকদের স্নেহে বলেন, ‘ওরা দুষ্ট ছেলে’ তখন বোঝার বাকি থাকে না রাষ্ট্র শাসনের ভার কার কাছে গেছে।’ পঙ্কজ ভট্টাচার্য অভিযুক্তদের দ্রুত বিচার আইনে আনার দাবি জানান।
আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং বলেন, ‘পাহাড়িদের মুক্তির সংগ্রাম তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বেগম বলেন, ‘গণতন্ত্র, সংবিধান ও জবাবদিহিতার দায়বদ্ধতা এড়িয়ে দেশ চালানো যায় না। এ দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে।’
নারী প্রগতি সংঘের নেত্রী রোকেয়া কবীর বলেন, ‘রাষ্ট্রকে নাগরিকের মাঝে বিভেদ সৃষ্টির নীতি পরিহার করতে হবে।’
সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের নেত্রী শম্পা বসু বলেন, ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে রাষ্ট্রকে প্রমাণ করতে হবে সে দায়িত্বহীন নয়।’ দেশব্যাপী নারী নির্যাতন দমনে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেল গঠন করারও দাবি জানান তিনি।
সভাপতি চঞ্চলা চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে চৈতালী ত্রিপুরা, গজেন্দ্র নাথ মাহান্ত, আবদুল মতিন, নিমাই মন্ডল, ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের আরো এক ডজন নেতা-নেত্রী বক্তৃতা করেন। বৃষ্টি ভেজা এই সমাবেশের পর একটি বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে।