কাপ্তাইয়ের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে ‘সুরূপা কাপ্তাই’ উন্মোচিত
রাঙামাটির নিরন্তর নিঃস্বর্গের অপরূপ সম্মিলনের জনপদ হিসেবে খ্যাত কাপ্তাই উপজেলা। যেখানে পাহাড়, নদী, লেক, বিভিন্ন ঐতিহ্য মিলেমিশে একাকার হয়েছে। প্রকৃতির এ মেলবন্ধনের অপরূপ কাপ্তাইয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান। আর এসকল দর্শনীয় স্থান ও ঐতিহ্য তুলে ধরতে কাপ্তাইয়ে নির্মিত হলো ‘সুরূপা কাপ্তাই’।
রাঙামাটির জেলার কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহানের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে বড়ইছড়ি সদরে কাপ্তাই-চট্রগ্রাম প্রধান সড়কের পাশে উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে এ সুরূপা কাপ্তাই মানচিত্র (স্তম্ভ) স্থাপন করা হয়েছে।
সুরূপা কাপ্তাইয়ের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো স্তম্ভের মাধ্যমে যেকেউ একনজরে তাকিয়ে কাপ্তাইয়ের মানচিত্রসহ পুরো উপজেলা সম্পর্কে একনজরে ধারণা নিতে পারবে। মহকুমা থেকে উপজেলা হিসেবে কাপ্তাইয়ের পরিচিতি আর দর্শনীয় ও বিখ্যাত স্থানসমূহকে মানুষের মাঝে পরিচিত করানোর জন্যই এ প্রচেষ্টা। কাপ্তাইয়ের মানচিত্রে ৫টি ইউনিয়নকে আলাদা করে বুঝানো হয়েছে। সবুজ অংশগুলো হলো পাহাড়। নীল চিহ্নে লেক আর কর্ণফুলী নদীর অবস্থান। আর এর ভিতরটায় বিভিন্ন পয়েন্টে রয়েছে বিখ্যাত কিছু স্থাপনার অবস্থান যা রাঙামাটি জেলার কাপ্তাইকে পরিচিত করেছে বিশ্বদরবারে। যেমন: কাপ্তাই বাঁধ, চিংম্রং বৌদ্ধবিহার, কর্ণফুলী পেপার মিলস, মুক্তিসোপান, কাপ্তাই লাভ পয়েন্ট, ফকির মুরং ঝর্ণা ইত্যাদি।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনতাসির জাহান জানান, কাপ্তাইয়ের নিরন্তর সৌন্দর্য ও মহকুমা থেকে বর্তমানে উপজেলা হওয়া পর্যন্ত লালায়িত ঐতিহ্য যুগ যুগের। অপরূপ সৌন্দর্যের এ লীলাভূমিকে নান্দনিক উপায়ে আরো নতুনত্ব আনতেই আমাদের এ প্রচেষ্টা। ‘সুরূপা কাপ্তাই’ মানে হলো সুন্দর রূপের অধিকারী কাপ্তাই। এ রূপ অবগাহনে সকলকে স্বাগতম জানাই।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড সাবেক কমান্ডার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী জানান, উপজেলা প্রবেশমুখে নান্দনিকভাবে তৈরী ‘সুরূপা কাপ্তাই’ এ চোখ পড়লে এক নজরে কাপ্তাইয়ের দর্শনীয় স্থান গুলো সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যাবে। সৌন্দর্যকে ধারণ করতে নতুন ভাবে নির্মিত এ মানচিত্রের পাশে দাঁড়িয়ে অনেক দর্শনার্থীদের ছবি তুলতে দেখা যায়।