কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত
কাপ্তাই প্রতিনিধি:
লম্বা সাড়ী লাইন দেখে মনে হয় কোন জাতীয় বা ইউপি নির্বাচন হচ্ছে। না এটা কোন জাতীয় বা স্থানীয় ইউপি নির্বাচন নয়। জাতীয় শিক্ষা মন্ত্রনালয় কর্র্তৃক ঘোষিত দেশের প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদরাসায় স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন।
বৃহস্পতিবার উৎসহ উদ্দীপনা নিয়ে কঠোর নিরাপত্তা, শান্তি পূর্ণভাবে জাতীয় নির্বাচনের ন্যায় কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন কালিন সকল শ্রেণীর পাঠদান ছিল বন্ধ। সকাল ৯টা হতে দুপুর ২টা পযর্ন্ত বিরতীহীন ভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
বিদ্যালয়টিতে মোট শিক্ষার্থী ও ভোটার সংখ্যা ৭শত ৬৩জন। এর মধ্যে ছাত্র ৪শত ৪৯জন ছাত্র এবং ছাত্রী ভোটার ৩শত ১৪জন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ফাহিম ফয়সাল সাকিব শিক্ষকদের সহযোগীতায় দায়িত্ব পালন করে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, কখনও ভোট দেইনেই বা এর আগেএমন দায়িত্ব পালন করেনি। প্রথম এ দায়িত্ব পালন করে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। এ শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শেষ করতে পেরেছি। উৎসক জনতা শিক্ষার্থীদের নির্বাচন দেখে থমকে দাঁড়ায় এবং অনেকেই তৎক্ষনিক মন্তব্য করেন এটি আবার কি নির্বাচন। অনেকেই বলে আমরা তো এ ধরনের নির্বাচন দেখিনি।
এদিকে কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হোসেন বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হয়েছে এবং আমরা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়েছি। তারা নিজেরাই সব কাজ করেছে। বিদ্যালয় নির্বাচন কেন্দ্র পরির্দশন করেন বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কাজী মাকসুরদুর রহমান বাবুল তিনি বলেন, সুন্দর পরিবেশে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন হয়েছে। এ নির্বাচন থেকে শিক্ষার্থীরা অনেক কিছুই শিক্ষা নিতে পাড়বে।
এদিকে কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন পরিদর্শন করেন কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ তিনি এই প্রতিনিধিকে বলেন, এ নির্বাচন আবশ্যই প্রশংসার দাবিদার গণতন্ত্র সু-প্রতিষ্ঠার জন্য এটা অনেকটা কাজে দিবে। স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচনে মোট ১৫জন প্রার্র্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এর মধ্যে ৮জন প্রার্র্থী সকলের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনার জানান আমাদের এখানে ৪৬৩ভোট কাস্ট হয়েছে এর মধ্যে ৫টি ভোট বাতিল বা নস্ট হয় ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে ৬ষ্ট শ্রেণির ছাত্রী তাহেরা জাহান সবোর্”চ ২২৫ভোট পেয়ে স্কুলের প্রধান নির্বাচন হয়। এর মধ্যে ১০ম শ্রেণির ছাত্রী শিরিন আক্তার ২০৩ ভোট, ৮ম শ্রেণির ছাত্রী আয়শা ছিদ্দিকী ২০৫, ৭ম শ্রেণির ফাতেমা আক্তার ২০৩, দশম শ্রেণির ছাত্রী রিমা আক্তার ২০১, ৯ম শ্রেণির ছাত্র সাগর হোসেন ১৯২, ৮ম শ্রেণির ছাত্র সাজ্জাদ হোসেন ১৮৪, ৯ম শ্রেণির ছাত্র বাইজিত হোসেন ১৬১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশনার জানান।