কুতুবদিয়ায় কল্লাকাটা আতংকে স্কুলছাত্রী উন্মাদ

fec-image

কুতুবদিয়ায় “কল্লাকাটা” আতংকে এক স্কুল ছাত্রী পাগল হয়ে গেছে। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে স্কুলে যাওয়া। দেশ জুড়ে অহেতুক পদ্মাসেতু নির্মাণে শিশুদের মাথা লাগবে-এমন গুজব রটিয়েছে একটি কুচক্রী মহল। গুজবটি দ্বীপ কুতুবদিয়াতেও বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে দেখা দিয়েছে আতংক।

উত্তর ধুরুং আকবরবলী পাড়া ফুলতলা এলাকার দরিদ্র বাসিন্দা নুর মোহাম্মদের মেয়ে মাসুকা বেগম(১৪)। ছোট ভাই মশকরা করে তাকে বলেছে তোর কল্লা কেটে নেবে। এ কথা শুনে মাসুকা আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়ে। খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিয়েছে ৫/৬ দিন যাবত। কোন কথাও বলছেনা। ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে।

স্থানীয় বৈদ্যর চিকিৎসা চলছে। ইতিমধ্যে বৈদ্য ৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। মেয়েটির মাথায় সমস্যার কথা বলে ডাক্তারের কাছে যেতে বলেছে বৈদ্য। মঙ্গলবার মেয়েকে নিয়ে ধুরুংবাজারে প্রাইভেট চিকিৎসক ডা: আলহাজ নুরুল আলম কুতুবীর চেম্বারে আসেন। এমনটিই বললেন মাসুকার মা। আফাজ উদ্দিন সিকদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে মাসুকা।

উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছেলে ধরা, কল্লাকাটা গুজব রটছেই প্রতিনিয়িত। বিদ্যালয়ে শিশুরা অনেকে আসাই ছেড়ে দিয়েছে। কুতুবদিয়া মহিলা কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী মারুফা খানম মায়া বলেন, তার গ্রামে ছেলে ধরা,মাথা কেটে নেয়া এমন সব আজগুবি গুজব চাউড় হচ্ছে। অনেক বাচ্চারা স্কুলে যেতেও ভয় পাচ্ছে। এ সব গুজব থেকে রেহাই পেতে প্রশাসন বা স্কুল গুলোর পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রচারণা চালানোর দাবি করেন তিনি।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ দিদারুল ফেরদাউস বলেন, ছেলে ধরা, কল্লাকাটা গুজবে কেউ বিশ্বাস করবেন না। এটা কোন মিথ্যা কথা। অহেতুক একটি মহল বিভিন্ন স্থানে গুজব রটিয়েছে। সচেতন হলে সবাই নিরাপদও থাকবে বলে তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন