কোরবানির মাংস পেয়ে রোহিঙ্গা শিশুদের উচ্ছ্বাস!
এবারে কোরবানির মাংস পেয়ে রোহিঙ্গা শিশুদের চোখে-মুখে ছিলো আনন্দ আর উচ্ছাস। তারা মেতে উঠেছিল উৎসবের আমেজে। গত দু’টি কোরবানীর ঈদ তারা বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে পালন করছে। বয়স্ক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ মিয়ানমার জান্তা সরকার কর্তৃক নির্মমতার স্মৃতি স্নরণ করে অনেকেই কেদেঁছেন। অনেকেই কষ্ট বুকে চেপে ঈদুল আযহার দিনে একটু সুখ খুঁজে বেড়িয়েছেন। এদের মধ্যে বেশি আনন্দ উচ্ছাস দেখা দেয় শিশুদের মাঝে। কারণ তারা পেয়েছেন কোরবানির মাংস। এ নিয়ে উচ্ছসিত তারা।
এবারে রোহিঙ্গাদের মাঝে মাংস বিতরণ করে প্রশংসা কুড়িয়েছে এন.জেড.একতা মহিলা সমিতি নামক একটি এনজিও সংস্থা। ইসলামিক রিলিফ ওয়ার্ল্ডওয়াইডের অর্থায়নে এন.জেড.একতা মহিলা সমিতি (লামা) বান্দরবানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মাংস বিতরণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে।
রোহিঙ্গা দিলদার হোসেন জানান, বহু স্বজন পাশে নেই। এবারের কোরবানে কিছু মাংস পেয়ে ছোট ছেলে-মেয়েদের নিয়ে খুশি।যারা মাংস দিয়েছে তাদের প্রতি হাজার শুকরিয়া। রোহিঙ্গা শিশু জয়নব (৮) চোখে-মুখে হাসি এবং হাতে মাংসের পলিথিন। সে বলছিল, গোশত খেয়ে নানীর কাছে “যাইয়ুম”। আগে পাওয়া গুলো হাইয়ুম। মাংস পেয়ে তারা খুশি বলে শিশু জয়নবের মত আরো অনেকেই জানান।
কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের নির্দেশনায় কোরবানির ৯৮টি গরুর মাংস ১৯ নং ক্যাম্পে ৫২৯৭ রোহিঙ্গা পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়।কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় হোষ্ট কমিউনিটি জন্য উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে চকরিয়া উপজেলায় ১২টি গরু, কুতুবদিয়া উপজেলায় ১০টি গরু এবং পেকুয়া উপজেলায় ১০টি গরু সর্বমোট ১৩০টি গরুর মাংস বিতরণ করা হয়।
এ সব মাংস বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন সাইট ম্যানেজমেন্ট প্রিমিয়ার ইন্টারন্যাশনাল, ক্লামটিন ইসলামিক রিলিফ ওয়ার্ল্ডওয়াইডের প্রতিনিধি জাফর আলম, আরিফ উদ্দিন, এন.জেড.একতা মহিলা সমিতির ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক আবুল কালাম, মনিটরিং অফিসার আবদুল হামিদ সজীব, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিগণ।
প্রসঙ্গতঃ ১৯ নং ক্যাম্পে বর্তমানে ১৪০ টি সেল্টার (আশ্রয়ন কেন্দ্র), টয়লেট, গোসলখানা, সোলারলাইট, গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ বাস্তবায়ন করছে এন.জেড.একতা মহিলা সমিতি। পাশাপাশি হোষ্ট কমিউনিটির জন্য উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নেও একই কাজ ইসলামিক রিলিফ ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের আর্থিক অর্থায়নে এন.জেড একতা মহিলা সমিতির সহযোগিতায় বাস্তবায়িত কাজ সমাপ্তের পথে।