কোরবানির মাংস সংরক্ষণে কী বলে ইসলাম?

fec-image

মহান আল্লাহ পাকের নৈকট লাভের আশায় ঈদুল আজহায় সামর্থবান মুসলমানরা কুরবানি দিয়ে থাকেন। পাশপাশি কুরবানির মাংসের বিষয়েও রয়েছে নির্দেশনা। পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীদের সঙ্গে কোরবানির মাংস ভাগ করে নেওয়াই কোরবানির প্রধান শিক্ষা। সমাজের গরিব-দুঃখী-মেহনতি মানুষের জন্য ভালো খাবারের আয়োজন করতে উৎসাহ দেয় ইসলাম। এ জন্যই কোরবানির মাংসের এক-তৃতীয়াংশ গরিব-মিসকিনকে, এক-তৃতীয়াংশ আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীকে এবং বাকি এক-তৃতীয়াংশ নিজের ও পরিবারের জন্য রাখা উত্তম। হাদিসে এমনটিই নির্দেশনা দিয়েছেন মহানবী (সা.)।

তবে কেউ যদি কোরবানির মাংস পুরোটা কাউকে না দিয়ে সংরক্ষণ করে রাখে, তাও জায়েজ হবে। ফিকহের কিতাবে বলা হয়েছে, ‘পুরো মাংস জমিয়ে রাখলেও অসুবিধা নেই।’ (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২২৪, আলমগিরি: ৫/৩০০) গরিব-মিসকিনদের দেওয়ার পর বাকি মাংস সংরক্ষণ করে রাখলেও কোনো অসুবিধা নেই। তা নিশ্চিন্তে রাখা যাবে। (মুয়াত্তা মালেক: ১/৩১৮)

ইসলামের প্রথম যুগে কোরবানির মাংস তিন দিনের বেশি সংরক্ষণ করার অনুমতি ছিল না। কারণ রাসুল (সা.) বলেছিলেন, ‘তোমরা তিন দিন পর্যন্ত কোরবানির মাংস রাখতে পারো। এরপর অবশিষ্ট যা থাকে, সদকা করে দাও।’ তবে পরে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। এ প্রসঙ্গে রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘দরিদ্র আগন্তুকদের কথা বিবেচনা করে আমি সংরক্ষণ করতে নিষেধ করেছিলাম। এখন তোমরা নিজে খাও, অন্যকে খাওয়াও; সংরক্ষণও করতে পারো।’ (মুসলিম: ১৯৭১)

ইবনু আবদিল বার (রহ.) লিখেছেন, আলিমগণ এ ঐকমত্যে পৌঁছেছেন, তিন দিনের পরেও কোরবানির গোশত সংরক্ষণের অবকাশ রয়েছে এবং এ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞাটি রহিত হয়ে গেছে। (আত-তামহিদ: ৩/২১৬)

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কোরবানি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন