কোরবানির হাটে জ্যান্ত ছাগল বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে

fec-image

ক্রেতার পছন্দ হলেই জ্যান্ত ছাগল তোলা হচ্ছে মেশিনে। ওজন করে কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি কেজি ৯০০-১০০০ টাকা দাম হাকাচ্ছেন বিক্রেতারা। সবমিলিয়ে এভাবে বেচাকেনায় ক্রেতা-বিক্রিতা ‍উভয় খুশি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোরবানির জন্য লালন-পালন করা ছাগলের অনেক কম দাম বলছেন ক্রেতারা। এ দরে বিক্রি করতে গেলে তাদের লোকসান গুণতে হবে। তাই কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে ক্রেতাও খুশি। কারণ তারা তাদের সাধ্যের মধ্যে কোরবানির পশু কিনতে পারছেন। আমাদেরও লোকসান গুণতে হচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) দুপুরে মিরপুর সেকশন-৬ ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা বসা অস্থায়ী পশুর হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯০০-১০০০ টাকায়। আমরাও সেই হিসাবে দাম চাচ্ছি। যেমন ২০ কেজির বেশি মাংস হবে এমন খাশির দাম ধরা হচ্ছে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। কিন্তু তারপরও অনেক কম দাম বলছেন ক্রেতারা। সবমিলিয়ে কেজি দরেই বিক্রি ভালো।

হাটে ঢুকেই বাদামি রংয়ের ব্ল্যাক বেঙল গোট প্রজাতির ছাগল পছন্দ করেন চাকরিজীবী শাহানাজ বেগম। ১৭ কেজি মাংস হবে জানিয়ে সেটির দাম ১৭ হাজার টাকা চাইলেন বিক্রেতা। তবে শেষপর্যন্ত ১৪ হাজার টাকায় ছাগলটি কিনেন শাহানাজ বেগম।

তিনি বলেন, সবকিছু বাদ দিলে ১৪ কেজির মতো মাংস থাকতে পারে। খুব একটা লোকসান হয়নি।

বিক্রেতা আল-আমিন চৌধুরী বলেন, আমাদের কেনা বেশি। কিন্তু ক্রেতারা যে দাম দিতে চাইছেন তা দিয়ে পোষায় না। বুধবার (৬ জুলাই) ৩৫টা ছাগল এনেছি সাতটা বিক্রি করেছি। ভালোই বিক্রি করেছি।

ছাগলের পাশাপাশি ভেড়াও বিক্রি হচ্ছে এ হাটে। ভেড়াও কেজি প্রতি ১ হাজার টাকা দরে দাম চাইছেন বিক্রেতারা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থেকে ছাগল ও ভেড়া নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ী শাহীন।

তিনি বলেন, আমি আটটি ভেড়া এনেছি। আর ৪২টা ছাগল। ২৫-২৬ কেজি ওজনের সবচেয়ে বড় ভেড়াটা ২০ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করেছি। এ পর্যন্ত তিনটা ভেড়া বিক্রি করেছি। ছাগলের দাম এখন একটু কম আছে, সামনে কি হবে বলা যাচ্ছে না। ছাগল ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছি। মোটামুটি ভালোই দাম পেয়েছি। এ পর্যন্ত নয়টা ছাগল বিক্রি করেছি। সূত্র: জাগোনিউজ

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কোরবানি, ছাগল
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন