খাগড়াছড়িতে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের নিয়ম অনিয়মে পরিণত

fec-image

খাগড়াছড়িতে বিদ্যুতের লোডশেডিং নিয়ম এখন অনিয়মে পরিণত হয়েছে। খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বাগত সরকারও স্বীকার করেছেন সেটা। নিয়ম মোতাবেক এখন দিনে-রাতে ২৪ ঘন্টা কোথাও না কোথাও লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।

এ দিকে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং-এর কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। হুমকির মুখে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। লোডশেডিংয়ের কারণে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। রোগীরা শিকার হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগের। কিছু দিন আগে দিনে এক ঘন্টার লোডশেডিং হওয়ার কথা থাকলেও এখন লোডশেডিং হচ্ছে কোন নিয়ম ছাড়াই। দিনে-রাতে মিলে কত ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে তার কোন হিসাব নেই। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকলেও বিল আসছে আগের চেয়ে বেশি এমন অভিযোগ গ্রাহকদের।

জানা গেছে, খাগড়াছড়ি জেলার প্রায় ৭৯ হাজার ৬৬২ জন আবাসিক ও অনাবাসিক বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে। বিদ্যুতের চাহিদা ২৮.৫০ মেগাওয়াট। শুরুতে প্রতিদিন ১ ঘন্টা করে লোডশেডিং হওয়ার কথা থাকলেও কোন নিয়মই মানা হচ্ছে না। এ কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে জেলাবাসী। তীব্র গরমের সঙ্গে অসহনীয় বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে শিক্ষার্থীরাসহ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আর ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে জনৈক চিকিৎসক বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে জেলার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। রোগীরাও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।

খাগড়াছড়ি ফার্নিচার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শাহজালাল বলেন, বিদুৎতের ভয়াবহ লোডশেডিং-এর কারণে সহস্রাধিক ফার্নিচার ব্যবসায়ী বেকায় পড়েছে। কাজ ছাড়া কর্মচারীদের বেতন দিতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হবে।

খাগড়াছড়ি বিদ্যুত সরবরাহ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বাগত সরকার বলেন, এখন দিনে কত ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে বলা মুশকিল। তবে বলতে পারি আমরা ২৪ ঘন্টাই কোথাও না কোথাও লোডশেডিং করছি। নির্দেশনামতো লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন