খাগড়াছড়িতে মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ করে হোটেলে আটকিয়ে রেখে গণধর্ষণ: এক ধর্ষক গ্রেফতার

গণধর্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
খাগড়াছড়িতে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণের পর চার যুবক বিভিন্ন হোটেলে আটকিয়ে টানা তিন দিন গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে। পুলিশ ধর্ষিতাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে।

ধর্ষিতার বড় বোন ও মামলার বাদী জানায়, গত ১ অক্টোবর খাগড়াছড়ি জেলা শহরের গঞ্জপাড়া ব্রিজ এলাকা থেকে তাদের ছোট বোন নিখোঁজ হয়।

অবশেষে সোমবার(২ অক্টোবর) ভোর রাতে শহরের একটি হোটেল থেকে পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয়।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক মো: আব্দুল হান্নান জানান, খাগড়াছড়ি জেলা সদরের কলাবাগানের বাসিন্দা চান মিয়ার ছেলে মাহমুদুল হাসান(১৯) গত ১ অক্টোর সকাল ১০টার দিকে গঞ্জপাড়া ব্রিজ এলাকা এক মাদ্রাসা ছাত্রী(১৩) কে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় ইকোছড়ি ইন নামে একটি হোটেলের দুটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে ছাত্রীটিকে আটকিয়ে মাহমুদুল হাসান তার অপর দুই সহযোগি মিশু বড়ুয়া ও মো: হোসেন মিলে টানা দুই দিন পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে।

২ অক্টোবর রাতে ছাত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় শহরের অপর হোটেল ফোর ষ্টারে। সেখানে হোটেলের ৩০৬ নম্বর কক্ষে ছাত্রীকে রেখে মাহমুদুল হাসান তার আরো এক বন্ধ সুমনকে নিয়ে আসে এবং দু’জনে রাতভর ধর্ষণ করে।

ইকোছড়ি ইন হোটেলের সহকারী ম্যানেজার মন্টু মারমা জানায়, গত ১ লা অক্টোর তিন যুবক একটি মেয়ে নিয়ে হোটেলে আসে এবং ১০১ ও ১০২ নং কক্ষ ভাড়া নেয়। ২ অক্টোবর রাত পৌনে ৯টার দিকে তারা চলে যায়।

অপরদিকে হোটেল ফোর ষ্টারের সহকারী ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন জানান, গত রবিবার(২ অক্টোবর)সন্ধ্যায় হাসান নামে এক যুবক এসে একটি রুম(৩০৫) বৃুকিং দিয়ে যায়। রাত ৯টার দিকে অপর একজন ছেলে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ঐ কক্ষে প্রবেশ করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা(ওসি তদন্ত) এস এম মাসুদ আলম চৌধুরী জানান, সোমবার ভোর রাতে পুলিশ ছাত্রীটির আত্মীয়দের সহযোগিতায় অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।হোটেলের সিসি ক্যামেরার ফটেজ নিয়ে চার ধর্ষককে সনাক্ত করা হয়েছে।

পুলিশ ইতিমধ্যে মামলার প্রধান আসামী মাহমুদুর হাসানকে আটক করেছে। এ ঘটনায় ছাত্রীটির বড় বোন বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন