খাগড়াছড়িতে সাংবাদিকদের জিডি আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত

khagrachari-picture01-23-12-2016

নিজস্ব প্রতিবেদক : খাগড়াছড়িতে নিরাপত্তা চেয়ে ৩৫ সাংবাদিকের করা জিডি মামলায় রূপান্তর হয়েছে। পাশাপাশি আদালতে মামলাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুমোদন দিয়েছেন।

খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ৩৫ সাংবাদিকদের জিডি নন জিআর মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তের খাগড়াছড়ির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমানের আদালত থেকে তদন্তের অনুমোদন পাওয়ার পর তদন্ত চলছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ির আলোকচিত্র সাংবাদিক নীরব চৌধুরীকে ধরে নিয়ে পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কর্তৃক মারধর করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে গত ২০ ডিসেম্বর স্থানীয় সাংবাদিকরা খাগড়াছড়ি পৌর শাপলা চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে মেয়র মো. রফিকুল আলমের অনুগত হিসেবে পরিচিত মো. দিদার ওরফে কসাই দিদারের নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৪৫ জন সন্ত্রাসী ‘একটি-দুটি সাংবাদিক ধর, ধরে ধরে জবাই কর, সাংবাদিকদের আস্তানা- জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি শ্লোগান দিয়ে জঙ্গী মিছিল নিয়ে মানববন্ধনস্থলে হাজির হয়।

একপর্যায়ে তারা মানববন্ধন কর্মসূচিতে ব্যবহারের জন্য সাংবাদিকদের আনা মাইক নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও মানববন্ধনে অংশ নেওয়া প্রত্যেক সাংবাদিককে জবাই করে হত্যা করার হুমকি দিয়ে বক্তব্য দেয় দিদার। এ সময় অধিকাংশ সন্ত্রাসীর হাতে ছিল কিরিচ ও লাঠিসোটা।

ঘটনার আকস্মিকতায় সাংবাদিকেরা তাৎক্ষণিক খাগড়াছড়ির সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান ও পুলিশ সুপার মো. মজিদ আলীর সঙ্গে দেখা করে তাঁদের বিষয়টি জানান এবং জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানায় ৩৫ সাংবাদিক এ জিডি করেন। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে নীরব চৌধুরীও থানায় আলাদা জিডি করেন।

সাংবাদিকদের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচি পালনকালে সেখানে মেয়রের অনুগত দিদার ও তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা মাইক কেড়ে নিয়ে হত্যাসহ নানা হুমকি দিয়ে রাখলেও পুলিশ শুধু নির্বিকারই ছিল না, উল্টো সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো সাংবাদিকদের কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করার পরামর্শ দেয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন