খাগড়াছড়ির মহালছড়ির তিন গ্রাম বাঙ্গালী পুরুষ শুন্য: পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ
ডেস্ক নিউজ:
গত ৭ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি জেলার মহলছড়ি উপজেলার মহলছড়ি কলেজে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) অপতৎপরতায় সংগঠিত উপজাতি-বাঙ্গালী ছাত্রদের মধ্যবর্তী সংঘর্ষের জের ধরে উক্ত উপজেলার জেএসএস ১৯ জন নিরীহ বাঙ্গালীর নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। ফলে খাগড়াছড়ির মহলছড়ির তিন গ্রাম বাঙ্গালী পুরুষ শুণ্য হয়ে পড়েছে বলে এক বিবৃতিতে দাবী করেছে পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ মহালছড়ি উপজেলা শাখা।
গ্রামগুলো হলো: (১) নার্সারী পাড়া, (২) টিএনটি পাড়া এবং (৩) মোহাম্মদপুর।আজ মঙ্গলবার পার্বত্য বঙ্গালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ মমিনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক মোঃ আকতার হোসেন এবং মহলছড়ি উপজেলা শাখা সভাপতি মোঃ সাহাদাত হোসেন এক যৌথ বিবৃতিতে উক্ত মামলাটিকে প্রতিহিংসাপূর্ণ আখ্যায়িত করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। বিবৃতিতে তারা বলেন, সংঘর্ষের নেপথ্যে জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর অঙ্গসংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ থাকলেও নিরীহ বাঙ্গালীদের উপর জেএসএস এর হিংসাত্মক মনোভাব চরিতার্থ করার পাশাপাশি বাঙ্গালী হয়রানি করার উদ্দেশ্যে এ মামলা করা করেছে। কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক মোঃ আকতার হোসেন জানান, আইন শৃঙ্খলা মিটিংয়ে বাঙ্গালী নেতৃবিন্দ জেএসএস এর অফিস মেরামত করে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও জেএসএস কর্তৃক বাঙ্গালীদের বিরোদ্ধে মামলা দায়ের অত্র অঞ্চললের পরিবেশ অশান্ত করার হীন প্রয়াস।
তিনি আরও জানান, এরই মধ্যে (১) মোঃ সোহেল রানা, (২) কুসুম, (৩) মোঃ ইউসুফ মিয়া সহ চার নিরীহ বাঙ্গালী কে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের মহলছড়ি উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আনোয়ার সংঘর্ষেও ঘটনার দিন ঢাকা ছিলেন, কিন্তু তাকেও উক্ত মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়। মামলায় গ্রেফতার আতংকে (১) নার্সারী পাড়া, (২) টিএনটি পাড়া এবং (৩) মোহাম্মদপুর নামে তিনটি গ্রাম বাঙ্গালী পুরুষশুণ্য হয়ে গেছে। তারা ভয়ে নিজ ঘরে ফিরতে পারছে না। তাছাড়া, মহলছড়ি বাজারের বাঙ্গালী মালিকানাধীন ১১ টি বড় দোকান স্থানীয় উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা হুমকিপূর্বক বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি প্রশাসনের প্রতি, গ্রেফতারকৃত বাঙ্গালীদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান।
পাশাপাশি উক্ত মামলা প্রত্যাহারপূর্বক গত ৭ ই সেপ্টেম্বরের সংঘর্ষের সুষ্ঠ তদন্ত করে সবার কাছে গ্রহনযোগ্য শান্তিপূর্ণ সমাধান ও ন্যায়বিচারের দাবি জানান। শান্তিপূর্ন সমাধানে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলেও জানানো হয়। অন্যথায়, বাঙ্গালীদের উপর হামলা-মামলা ও হয়রানির মাধ্যমে পরিস্থিতি ঘোলাটে তথা অশান্ত করার চেষ্টা করা হলে উক্ত এলাকায় আবারও সহিংসতা ছড়িয়ে পরবে বলে আশংকা করে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ।
ata r notun ki !upojatira ctg k niya ja sorojonto korca ata tar ongso matro.