খাগড়াছড়ি পানছড়িতে ১ খ্রীষ্টান ধর্মযাজক ও লংগদুতে ১ গ্রামবাসী সন্ত্রাসীর গুলিতে নিহত। গুলিবিদ্ধ আরো ১ শিশু

arun

দুলাল হোসেন,খাগড়াছড়ি॥
খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার থাপিতাবাড়ি এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক  খ্রীষ্টান ধর্মযাজক প্যাষ্টর অরুন চাকমা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাত ভোর ২ টার সময় খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার থাপিতাবাড়ি এলাকায় অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা  খ্রীষ্টান ধর্মযাজক প্যাষ্টর অরুন কান্তি চাকমা(৪০) কে গুলি করে পালিয়ে যায়। অরুন কান্তি চাকমা ঘটনা স্থলে নিহত হন। নিহত খ্রীষ্টান ধর্মযাজক একই এলাকায় মৃত শুভধন চাকমার ছেলে বলে জানা গেছে।

পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, শনিবার দিবাগত রাত ভোর রাতে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা প্রত্যন্ত থাপিতাবাড়ি এলাকার খ্রীষ্টান ধর্মযাজক পাষ্টর অরুন কান্তি চাকমা, ৪০ কে গুলি করলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তেন জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে প্রেরন করেছে। তবে কি কারনে অরুন কান্তি চাকমাকে গুলি করা হয়েছে এ বিষয়ে কোন ধারনা দিতে পারেনি পুলিশ ও এলাকাবাসী।

এদিকে খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি সীমান্তবর্তী উল্টাছড়ি গ্রামে এনজয় চাকমা(৪০) নামে জেএসএস(এমএনলারমা) গ্রুপের সাবেক সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের সদস্যরা।

এনজয় চাকমার স্ত্রী তিশা চাকমা খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে এ প্রতিবেদককে বলেন, রবিবার সকালে তার স্বামী এনজয় চাকমা প্রতিদিনের মতো সকাল ৭টার দিকে গুম থেকে উঠে তার দেড় বছরের ছেলে আদর্শচাকমাকে নিয়ে বাড়ীর উঠানে হাটছিলেন এ সময় ৪জনের একটি সশস্ত্র গ্রুপ এসে তার স্বামীকে লক্ষ্য করে ব্রাশ ফায়ার করলে তার স্বামীর মাথায় ও বুকে গুলি লেগে ঘটনা স্থলে নিহত হন। এ সময় তার ছেলেরও বাম পায়ে গুলি লাগলে তার ছেলেও আহত হয়।
তিনি আরো জানান, তার স্বামী আগে জেএসএস(এমএন লারমা) দলে কাজ করলেও বর্তমানে কাজ করেন না। এ সময় কেঁদে কেঁদে তিনি আরো বলেন,আমার স্বামী আগে বুঝে হোক আর না বুঝে হোক এমএস লারমা দলে কাজ করেছে কিন্তু আমার নিস্পাপ শিশু কি দোষ করেছে, তাকে কেন গুলি করা হলো। তিনি সরকারের নিকট এর বিচার  দাবী করেন।

এ ঘটনার জন্য জেএসএস(এমএন লারমা) গ্রুপের এক সদস্য,জেএসএস(সন্তু)লারমা গ্রুপের সদস্যদের দায়ী করেছেন। তবে জেএসএস(সন্তু লারমা) দলে সহ-তথ্য প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা অস্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে লংগদু ও দীঘিনালা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা(ওসি) জানান,ঘটনাটি দুই জেলার দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম হওয়ায় তারা এখনো কেউ ঘটনা স্থলে যাননি। তবে তারা ঘটনাটি শুনেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন