গৃহবধূ ধর্ষণকাণ্ডের মূল হোতা আশিকের ৩ দিনের রিমান্ড

fec-image

স্বামী ও সন্তানকে জিম্মি করে গৃহবধূ ধর্ষণকাণ্ডের মূল হোতা আশিকুল ইসলাম আশিকের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে শুনানি শেষে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আবুল মনসুর ছিদ্দিকী এ আদেশ দেন। গতকাল সোমবার (৩ জানুয়ারি) ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. রুহুল আমিন। আদেশের জন্য মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) ধার্য রাখেন বিচারক।

এর আগে, ৩০ ডিসেম্বর পুলিশি পাহারায় আশিককে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে আনা হয়। ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, এ মামলার বাকী পাঁচ আসামির রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে তারা কেউই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়নি।

গত ২২ ডিসেম্বর স্বামী ও সন্তানকে জিম্মি করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযাগে চারজনের নাম উল্লেখ ও তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন ভিকটিম নারীর স্বামী।
মামলার আসামি হলেন, শহরের বাহারছড়া এলাকার আশিকুল ইসলাম আশিক, মোহাম্মদ শফি ওরফে ইসরাফিল হুদা জয় ওরফে জয়া, মেহেদী হাসান বাবু প্রকাশ গুন্ডিয়া ও জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটন।

মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ছয়জন গ্রেপ্তার হয়েছে। প্রধান আসামি আশিককে গত ২৬ ডিসেম্বর মাদারীপুর থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে তাকে ঢাকার আদালতে তোলা হয়। আদালতের আদেশ মতে তাকে কক্সবাজার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার অগ্রগতি প্রসঙ্গে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ভিকটিম এবং বাদী একেক সময় একেক কথা বলছেন। এ কারণে মামলা অগ্রগতিতে প্রভাব পড়ছে, বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মূল আসামিকে রিমান্ডে নিলে ঘটনার আরও অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে পারব বলে আশা করছি।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, স্বামী-সন্তান নিয়ে তিনি কক্সবাজারে আসেন। এর মধ্যে ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার কিছু পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার আট মাসের সন্তান ও স্বামীকে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। আর তাকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় জোর করে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে শহরের একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানে নিয়ে প্রথমে তিনজন ধর্ষণ করেন। তারপর নেয়া হয় হোটেল-মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন নামের একটি হোটেলে। সেখানে আবারও তাকে ধর্ষণ করেন আশিক। ঘটনার দিনই ওই নারীকে হোটেল থেকে উদ্ধার এবং ওই হোটেলের ম্যানেজার ছোটনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন