ঘুমধুমে পাহাড় থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধ বালি উত্তোলন
উখিয়ার পাশ্ববর্তী ঘুমধুম ইউনিয়নের আজুখাইয়া মগঘাট এলাকায় সরকারি লীজভুক্ত পাহাড় থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন অব্যাহত রেখে স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী মহল। এতে পাহাড়ের ভারসাম্য নষ্টের পাশাপাশি ধ্বংস হচ্ছে প্রাকৃতিক সম্পদ।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, এভাবে পাহাড়ে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালি উত্তোলন করা হলে আগামী কয়েক বছরে অস্থিত্ব হারাবে ঘুমধুমের অধিকাংশ পাহাড়।
সরেজমিন ঘটনাস্থল ঘুরে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ২৭১ নং তুমব্রু মৌজার ১৬৭১,১৬৪৫, ১৬৪৩ দাগের আন্দরে আলহাজ্ব ইয়াহিয়া নামের ২০ একর লীজ প্লট রয়েছে।
ওই প্লটের সৃজিত বাগানে বিপাল পাহাড় ধ্বংস করে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ১০/১৫জন শ্রমিক দিয়ে রাতদিন বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালী ফরিদ আলম (৫০), আব্দুর রহমান (৫৫)সহ কয়েকজন চিহ্নিত বালিখেকো।
সংরক্ষিত ইউপি মেম্বার ফাতেমা বেগম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মগঘাট এলাকার কতিপয় লোকজন উক্ত স্থান থেকে রাতদিন উপেক্ষা করে বালি উত্তোলন করছে। এখন অনেকে বিষয়টি জানলেও ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা।
ইয়াহিয়া গার্ডেনের পাহারাদার সাধন বড়ুয়া বলেন, আজুখাইয়া মগঘাট এলাকার বালিখেকো ফরিদ আলম, আব্দুর রহমান নেতৃত্বে কিছু অসাধু ব্যক্তি পাহাড় ধ্বংসে মেতে উঠেছে। সৃজিত লীগ প্লটের পাহাদার হিসেবে আমি বালি উত্তোলনে নিষেধ করায় তারা আমাকে মামলা, হুমকি দিচ্ছে। আমি হুমকি-ধমকির কারনে আমি এখন ভয়ে এবং আতঙ্কের মধ্যে আছি। সে বালি উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক একেএম শামীমুল আলম খুরশি বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ব্যতিত কেউ বালি উত্তোলন করে থাকলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে অভিযান চালানো হবে বলে প্রতিবেদককে আশ্বাস্থ করেন।