ঘুমধুমে ভূমিদস্যুদের কারসাজির যাতাকলে ২ শিক্ষক পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমরুতে ভূমিদস্যুদের কারসাজির যাতাকলে পিষ্ট হয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ২ শিক্ষক পরিবার।
রোববার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেস ক্লাবে করা সম্মেলনে দীর্ঘ ৬৫ বছর ধরে দখলে থাকা নিজেদের দলিলি ৫ কানি জমি অন্যরা কেড়ে নিতে চাচ্ছে চলে বলে কলে কৌশলে। যেখানে তাদের বাড়ি-ঘর,ধানের ক্ষেত,ফলদ-বনজ বৃক্ষ বাগানও রয়েছে। জমিটি ২৭১ নম্বর তুমরু মৌজার ঘুমধুম ২ নম্বর ওয়ার্ড়ের তুমরু মধ্যমপাড়া এলাকায়। জমিটির উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে এক নব্য কোটিপতি চক্রের। যারা নানা অপরাধের সাথে জড়িত দীর্ঘদিন। তারা বেপরোয়াও বটে।
এমতাবস্থায় ২ শিক্ষক পরিবার কোন উপায় না পেয়ে প্রথমে স্থানীয়ভাবে পরে নাইক্ষ্যংছড়ি থানাসহ আইনের প্রতিকার চেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন দিনের পর দিন। আইন তাদের পাশে থাকলেও মাঝে মধ্যে তারা পড়ে যায় মহা বিপদে।
তারই অংশ হিসেবে রোববার সকালে (৩০ জানুয়ারি) নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন এ ২ শিক্ষক। তারা হলেন তুমরু মধ্যমপাড়া মৃত আলি আহমদ ছৈয়দ হোসেন, নূর হোসেন।
প্রথমজন একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অপরজন একটি ঐতিহ্যবাহী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
শিক্ষকদ্বয় সাংবাদিকদের জবাবে বলেন,তারা দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে শিক্ষকতা নিয়োজিত। চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। পৈত্রিক সম্পত্তিই তাদের একমাত্র সম্বল। আর সামান্য বেতন। কিন্ত বিবাদী নবী হোসেন, কামাল হোসেন, জয়নাল সহ ১৫ থেকে ২০ জনের একটি চক্র জোট হয়ে তাদের ৫ কানি জমিতে কুদৃষ্টি দেয়। তাদের অনেক টাকা। কেননা তারা সীমান্তের নানা ব্যবসায় জড়িত। ইয়াবা তাদের অনেকের মূল ব্যবসা। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে সীমান্তের ২ জেলায় ইয়াবার মামলা রয়েছে। তাই তারা আইনকে ভয় পায় না। তারা প্রায় বিপদ দেখলেই টাকা ব্যবহার করে থাকেন।
তারা আরও বলেন, বিবাদীরা খুবই হিংস্র প্রকৃতির। এ কারণে তুমরু মধ্যম পাড়া সাকিনস্থ হোল্ডিং নং: ৩৪৮ ও ৫৮ এর তৌজিভূক্ত ভোগদখলীয় তাদের এ জমিটি রাত দিন দখল ছাড়া করতে জোরখাটাচ্ছে নানা অজুহাতে। তার মধ্যে একটি হলো সার্ভে রির্পোট সংগ্রহ। বিশেষ করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ভূমি অফিসের মোটা অংকের টাকা দিয়ে একটি মিথ্যা সার্ভে রির্পোট তৈরি করে নেন নবী হোসন গংরা। এতে ২ শিক্ষকের দখলে থাকা ৫ কানি জমি প্রতিপক্ষের দখলে বলে জঘন্যমত মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
অথচ এর ৩ মাস আগে নাইক্ষ্যছড়ি থানা পুলিশের গণসমাবেশ করে তথ্য সংগ্রহ করা রির্পোটে একজন পুলিশ অফিসার জমিটির দখলেন বলেছেন। আর নবী হোসেনরা দখলে নিতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সার্ভেয়ার এই প্রতিবেদককে।