ঘুমধুম সীমান্তের বন্ধ থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলছে বুধবার

fec-image

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর আরাকান আর্মি মধ্যে তীব্র সংঘাত হয়। এই সংঘাতের ফলে ওপার থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মর্টার শেল ও বিভিন্ন গোলার খোসা এসে পড়ে। তাদের চলমান সংঘর্ষের ঘটনায় প্রাণ রক্ষার্থে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বিজিপি বাংলাদেশে প্রবেশ করে আশ্রয় নেন।

তীব্র এই সংঘাতের জেরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত এলাকার বসবাসরত সাধারণ মানুষ মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্ক ও সীমান্তের নিরাপত্তার কারণে উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের গেল ৫ ফেব্রুয়ারি পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন প্রশাসন।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে এসব স্কুল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

সীমান্তের পরিস্থিতি অবনতির হওয়াই দীর্ঘ এক মাস পর বন্ধ থাকা পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হচ্ছে। স্কুল খুলে দেওয়ার ফলে এতে আনন্দিত ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

স্কুলগুলো হলো- বাইশপারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজা বনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিমকুল তমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ত্রিরতন চাকমা সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘুমধুম সীমান্তের পরিস্থিতি এখন অনেকটা স্বাভাবিক। সাময়িকভাবে বন্ধ থাকা বিদ্যালয়গুলোর শ্রেণি কার্যক্রম তাই চালু করা হচ্ছে।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় স্কুলগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: প্রাথমিক বিদ্যালয়
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন