ঘোষণা ছাড়াই সব গেট খুলে দিয়েছে ভারত, বাংলাদেশের ৪০ গ্রাম প্লাবিত

fec-image

রংপুরে টানা বৃষ্টি আর ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের সবগুলো গেট পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই খুলে দেওয়ায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে ৬টায় তিস্তার ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ও রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জানা গেছে, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে রংপুরের কাউনিয়া ও গঙ্গাচড়া ও পীরগাছা উপজেলার ৪০টি চরাঞ্চলের গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। এতে প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বাড়িঘর ৩ থেকে ৪ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। সেই সঙ্গে পানিতে তলিয়ে গেছে জমিজমা। পানিবন্দি মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু স্থানে ও পাউবো বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর, নোহালী ও লক্ষীটারী ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম। কাউনিয়া উপজেলার গদাই, ঢুসমাড়া চর, আজম খাঁ চর, হায়বত খাঁ, চরগনাই, পল্লীমারী, চর একতা, চর মিলনবাজার, গোপীডাঙ্গা,ডালার চর।পীরগাছার,ছাওলা, তাম্বুলপুর।

লক্ষীটারি ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল্লাহেল হাদী বলেন, ভারতের উজান থেকে পানির ঢল নেমে আসতে শুরু করেছে। আরও বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ জন্য নদীপারের মানুষদের সতর্কাবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে।

রংপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমা হচ্ছে ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। সেখানে ৫২ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা ২৮ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। সেখানে পানি প্রবাহিত হচ্ছে ২৯ দশমিক ২২ সেন্টিমিটার।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আহসান হাবিব বলেন, তিস্তা নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। সে কারণে দুর্গম চরাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। ভারতের উজানে পানি বৃদ্ধির কারণে গজলডোবা ব্যারাজের সবগুলো গেট পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই খুলে দেওয়ায় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে প্রবল বেগে পানি আসতে শুরু করে। বাংলাদেশ অংশে তিস্তা নদীর পানি মারাত্মক বেড়েছে। তিস্তা সেচ ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাটের সবগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: গ্রাম, ঘোষণা গেট, প্লাবিত
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন