চট্টগ্রাম ও বান্দরবান কারাগার থেকে আরো ২২ জন বমের মুক্তি লাভ

fec-image

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ২ ব্যাংকে কেএনএফ’র হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার আরো ২২ জনকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে গত সোমবার ৬ জন ও রোববার ১৬ জন চট্টগ্রাম ও বান্দরবান কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান।

এ নিয়ে ব্যাংক দুটিতে হামলা, অস্ত্র ও টাকা লুটের ঘটনায় বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার ১৯৯ জনের মধ্যে ৯৪ জন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জামিনপ্রাপ্ত বম সম্প্রদায়ের ২৮ জন নারী-পুরুষকে সেনাবাহিনী বান্দরবান রিজিয়নের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়।

এর আগে হাইকোর্ট ও বান্দরবানের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারা জামিনের আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

জানা যায়, ২০২৪ সালের ৩ ও ৪ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালিয়ে টাকা ও পুলিশ আনসার বাহিনীর অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। ঘটনায় রুমা ও থানচি থানায় পৃথক ছয়টি মামলা করে পুলিশ। এসব মামলায় বিভিন্ন সময়ে ১৯৯ জন বম সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষকে গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে গত বছর গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে তাদের পরিবার মানবিক সঙ্কটে পড়ে। পরে সেনাবাহিনীর কাছে আবেদনের পর তাদের প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়। এছাড়া ভারতের মিজোরামসহ দুর্গম এলাকায় আত্মগোপনে থাকা বম সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ যারা এলাকায় ফিরে এসেছেন তাদেরও ঘরবাড়ি তৈরিতে আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা দেয়া হয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে।

বম সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি লালজারলম বম জানান, ‘সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় গ্রেফতার বম সম্প্রদায়ের ১৯৯ জনের মধ্যে ৯৪ জন ইতোমধ্যে জামিন পেয়েছে। শুধু জামিনই নয় তাদের নানাভাবে সহায়তা দিয়েছে সেনাবাহিনী। যারা হামলার ঘটনায় জড়িত নয় তাদের জামিন দেয়ার জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন সম্প্রদায় থেকে দাবি উঠেছে। পরে অধিকতর তদন্তের পর যারা জড়িত নয় তাদের পর্যায়ক্রমে জামিন দেয়া হচ্ছে। এতে করে সম্প্রদায়ের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এছাড়া যারা বাইরে আত্মগোপনে ছিল তারাও এলাকায় ফিরতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে মিজোরাম ও বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৬২ পরিবারের ৪১৩ জন নারী, পুরুষ ও শিশু এলাকায় ফিরে এসেছে। একসময়ের অশান্ত এলাকা এখন অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।‘

এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর বান্দরবান রিজিয়ন সূত্র জানায়, ‘গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে যারা ঘটনায় জড়িত নয় তাদের জামিনে আদালতসহ সংশ্লিষ্টদের সর্বাত্মক সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া যারা মানবিক সঙ্কটে রয়েছে তাদের নানাভাবে আর্থিক ও মানবিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে। আগামীতেও এটি অব্যাহত থাকবে।’

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: থানচি, বম সম্প্রদায়, বান্দরবান
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন