চাকপাড়া থেকে ১৪ পরিবার উচ্ছেদের অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট- কাজী মজিব

Bandarban mojib 23.6.2013

জমির উদ্দিন:

বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলার চাকপাড়া থেকে ১৪ পরিবার উচ্ছেদের অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। পার্বত্য চট্রগ্রাম মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব মো. আলমগীর হোসেনের তদন্ত রিপোর্ট ও গত ২২জুন একটি জাতীয় পত্রিকায় বান্দরবানে ‘চাকপাড়ায় আদিবাসী উচ্ছেদের সত্যতা মিলেছে’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ভিত্তিহীন বলে দাবী করেছেন বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মজিবর রহমান।

রবিবার প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সংম্মেলনে তিনি বলেন, চাক সম্প্রদায়ের লোকজন জনসংহতি সমিতির চাপের মুখে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন ও আওয়ামীলীগকে জড়িয়ে অপপ্রচার চলিয়েছেন। এসময় চাক বাদুর ঝিড়ি পাড়ার (১৪ পরিবারের) বাসিন্দা অংসানু চাক ও অংসাগ্যা চাক উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে অংসানু চাক ও অংসাগ্যা চাক বলেন, ২৫/৩০বছর ধরে ২৮০নং আলীক্ষ্যং মৌজার বাদুর ঝিড়ি পাড়ায় বসবাস করে আসছে।

বাইশারী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহ্ আলম বাদুর ঝিড়ি পাড়ায় বিভিন্ন সময়ে ডাকাতির পর পুলিশ নিয়ে স্থানীয়দের বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেছে। সততায় কেউ ঈর্ষান্বিত হয়ে কু-চক্রীমহল তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। তিনি বিভিন্ন কোম্পানির রাবার বাগান চুক্তি ভিত্তিতে কাজ করেন। তিনি কারও জায়গা দখল করেনি এবং তার নেতৃত্বে কাউকে উচ্ছেদও হয়নি। তারা আরও বলেন, আর্থিক সংকটের কারনে প্রত্যেকে দখলীয় খাস পাঁচ (৫.০০ একর) একর পাহাড়ি ভুমি বিভিন্ন জনকে বিক্রি করেছেন। তাদেরকে কেউ উচ্ছেদ করেনি। কাজের সন্ধানে ও জীবন মান উন্নয়নে বাদুর ঝিড়ি চাকপাড়া ছেড়ে তারা বাইশারী এলাকায় বসবাস শুরু করেছেন।

কাজী মজিবুর বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জনসংহতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ক্যউসিং মার্মা জবর-দখলকৃত ৫’শ একর ভূমি বহিরাগত ভূমিদস্যুদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। আর দোষ পড়েছে আওয়ামীলীগের উপর। তিনি বলেন, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে আওয়ামীলীগ ৪ নেতাকে জড়িয়ে ১৪ চাক পরিবার উচ্ছেদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও অপপ্রচার।

পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের তদন্ত রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এ রিপোট পার্বত্য মন্ত্রীর নির্দেশে করা হয়েছে। পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর ও আওয়ামীলীগকে হেয় প্রতিপন্ন করতে বিভিন্ন অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ভূমিহীন মানুষের অধিকার আদায়ে সহযোগীতা করে আসছে এবং ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জনপ্রশাসন উপদেষ্টা এইচটি ইমাম বান্দরবান সফরকালে মতবিনিময় সভায় বান্দরবানে বহিরাগতদের কর্তৃক ৬ লাখ একর ভুমি জবর দখলের কথা জানিয়েছেন। এসময় উপদেষ্টা জেলা প্রশাসককে এবিষয়ে তদন্তপূর্বক দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, কক্সবাজারের বিএনপির এমপি কাজল নিরিবিলী গ্রুপের নামে লামার কাগজি খোলা এলাকায় প্রায় ৪’শ একর  ভূমি জবর-দখল করেছে। এসব ভূমি উদ্ধার করে আওয়ামীলীগের উদ্যোগে ১৫টি চাক ও ১৫টি বাঙ্গালী পরিবারকে বন্টন করে দেয়। এরপরেও জনসংহতি সমিতি, বিএনপি ও জামায়াত নেতারা আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে ভূমি দখলের মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে আসছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

One Reply to “চাকপাড়া থেকে ১৪ পরিবার উচ্ছেদের অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট- কাজী মজিব”

  1. ami nije badurjhirite gesi 3 bar.ami peshay photographer.badurjhiri gram ussed kora na holeo shekhane chakra thakte parse na keno ? last badurjhiri gesi june 2013 er majhamajhi.badurjhiri usseder porikolpona mone hoy anno rakom.badurjhiri ussed hoini eta bola thik na.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন