চোরাই মোবাইলের ঠিকানা চকরিয়া শপিং কমপ্লেক্স, দোকানদারসহ আটক ৫

fec-image

আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় আইএমইআই পরিবর্তন করে দুষ্কৃতিকারী এবং রোহিঙ্গাদের নিকট মোবাইল বিক্রয়ের সংঘবদ্ধ চক্রের প্রধানসহ পাঁচজনকে আটক করেছে র‌্যাব। তারা হলো- পেকুয়া হাজিরঘোনার আলমগীরের ছেলে মো. মোর্শেদ (২৯), চকরিয়া বিএম চরের মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে মিজবাহ উদ্দীন (২৪), পহর চাঁদার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে আমিনুল ইসলাম (২৬), মনিরুল ইসলাম (২০) ও চকরিয়া পৌরসভার ফুলতলার মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে শহীদুল ইসলাম (২৯)।

এ সময় তাদের নিকট থেকে বিপুল পরিমাণ চোরাই মোবাইল, আইএমইআই পরিবর্তনের ডিভাইস ও ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।

বুধবার (৭ জুন) চকরিয়া শপিং কমপ্লেক্সে পরিচালিত অভিযানের খবরটি ৮ জুন সকালে জানিয়েছেন র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী।

তিনি জানান, চকরিয়ায় দীর্ঘদিন যাবত সক্রিয় মোবাইল চোর সিন্ডিকেট এবং একটি চক্র আইএমইআই পরিবর্তন করে অপরাধ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংগঠন বা চক্রের সদস্যসহ রোহিঙ্গাদের নিকট মোবাইল ফোন বিক্রয় করে আসছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে চকরিয়া শপিং কমপ্লেক্স এর নিচ তলায় সেল কেয়ার নামক মোবাইল সার্ভিসিং দোকানে অভিযান চালায়। তারা র‌্যাবের অভিযানের বিষয়টি বুঝতে পেরে কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে মিজবাহ উদ্দীন নামে একজনকে আটক করা হয়।
তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রংধনু সেল কেয়ার ও সফটওয়্যার ভিলেজ নামক মোবাইল দোকানে অভিযান পরিচালনা করে ৫৫টি (৫৩টি স্মার্ট ও ২টি বাটন ফোন) চোরাই মোবাইল, আইএমইআই পরিবর্তনের ১১টি ডিভাইস, ৪টি ল্যাপটপ, ১টি মনিটর, ১টি পিসি ও অবৈধ মোবাইল বিক্রির নগদ ২৬ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের নিকট বিক্রয় সিন্ডিকেটের প্রধান দলনেতা মো. মোর্শেদ।

আটক ব্যক্তিরা জানায়, তারা পরস্পরের যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবত এই অনৈতিক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। বিভিন্ন মাধ্যমে চোরাইকৃত মোবাইল সেট কম দামে ক্রয় করে আইএমইআই পরিবর্তনের পর পুনরায় তা বিভিন্ন অপরাধী, সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত সংগঠন বা চক্রের সদস্যসহ রোহিঙ্গাদের নিকট বিক্রয় করে থাকে।
তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন