জীবনমান উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষার কোন বিকল্প নেই: খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক

fec-image

“কারিগরি দক্ষতাই শক্তি,দক্ষতাই দিবে বেকারত্ব সমস্যা থেকে মুক্তি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে খাগড়াছড়ি আনন্দ ভোকেশনাল সেন্টারের উদ্যোগে ১৬তম ব্যাচের প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার (১২ জুন) বিকাল সাড়ে ৪টায় খাগড়াছড়ি সদরস্থ বলপিয়া আদাম আনন্দ আঞ্চলিক শাখা অফিসের প্রাঙ্গণে এ সনদপত্র ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে ঢাকা আনন্দ’র নির্বাহী পরিচালক মনিরুজ্জামান মিয়া’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান।

এদিন ১৬তম ব্যাচে বিভিন্ন ট্রেডে ৮২ জন প্রশিক্ষণার্থীর মাঝে সনদপত্র ও প্রশিক্ষণে শ্রেষ্ঠত্ব প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীদের মাঝে সম্মাননা স্বারক (পুরস্কার) বিতরণ করা হয়।

এ উপলক্ষে আলোচনা সভায় খাগড়াছড়ি আনন্দ ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারের অধ্যক্ষ শ্যামল রোজারিও’র সঞ্চালনায় জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, এদেশের শ্রমবাজারকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে দক্ষ শ্রমিকে রূপান্তর ও দেশের শিল্পায়নের পথে কারিগরি শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আমাদের প্রয়োজন দক্ষ কারিগর ও দক্ষ অপারেটর। সবাই বিএ, এমএ, মাস্টার্স পাস করেও চাকরি পেছনে না দৌঁড়ে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত না হলে বিদেশেও চাকরির সুযোগ নেই। কারিগরি দক্ষতা, ভাষাগত দক্ষতা না থাকা, বিদেশে নিয়োগকৃত প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট সার্চ করে দেখতে না জানার কারণে এদেশের বেশিরভাগ লোক দালালের খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছে। তারা আবার কারিগরি দক্ষতার অভাবে বিদেশে গিয়ে ভালো চাকরি করতে পারেন না। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে, আত্মকর্মসংস্থান, উদ্যোক্তা ও জীবনমান উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মুনতাসির জাহান, আনন্দ কেন্দ্রীয় অফিসের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর আনোয়ার হোসেন, গোলাবাড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান উল্লাস ত্রিপুরা, জেলা আনন্দ অফিসের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক বিজয় কৃষ্ণ বালা, টিটিসি’র অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন এবং সফলতার গল্প ব্যক্ত করেন প্রশিক্ষণার্থী স্বপ্নমিতা চাকমা ও গিয়াস গিয়াস উদ্দিন।

এ সময় আনন্দ’র প্রজেক্ট ম্যানেজার আলোক প্রদীপ ত্রিপুরা (বিপন)সহ প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন