“জীবনে প্রথম বিদ্যালয়ে আসার অনূভুতি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের মাঝে”

fec-image

অনেক দিন পর বন্ধুদের দেখা পেয়ে অনেক শিক্ষার্থী আবেগে পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে। মেতে ওঠে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে ওঠে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। শিক্ষক-কর্মচারীরাও শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেন আনন্দচিত্তে। আর সন্তানেরা শ্রেণিকক্ষে ফেরায় স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন অভিভাবকেরা। তবে করোনা মহামারিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে তাঁরা কিছুটা উদ্বিগ্ন।

একজন শিক্ষার্থী তার অভিবাবকের সঙ্গে স্কুলের ফটকের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। তার কাঁধে স্কুলব্যাগ। মুখে মাস্ক। স্কুলের দড়জার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল শিক্ষকরা। স্কুলে ঢুকেই বেসিনে গিয়ে হাত ধুয়ে নিল ছাত্র ছাত্রীরা। শিক্ষক শিক্ষার্থীকে তার নির্ধারিত শ্রেণিকক্ষ দেখিয়ে দিল। সেখানে চলে যায় সে। রোববার সকাল পৌনে নয় টার দিকে রাজস্থলী বাজার সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এমন চিত্র দেখা গেল।

করোনা মহামারির কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ বন্ধ হয়ে যায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রায় দেড় বছর পর ১২ সেপ্টেম্বর রোববার খুলে দেওয়া হয়েছে স্কুল-কলেজ। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ছিল, যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে স্কুল খোলার প্রথম দিন । অনেক দিন পর বন্ধু বান্দবদের দেখা পেয়ে অনেক শিক্ষার্থী আবেগে পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে। মেতে ওঠে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে ওঠে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। শিক্ষক-কর্মচারীরাও শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেন আনন্দচিত্তে। আর সন্তানেরা শ্রেণিকক্ষে ফেরায় স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন অভিভাবকেরা। তবে করোনা মহামারিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে তাঁরা কিছুটা উদ্বিগ্ন।

রাজস্থলী তাইতং পাড়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান গেইটের সামনে নবম শ্রেণিপড়ুয়া ছাত্র সুজিত তনচংগ্যার বাবা বলেন, স্কুল খুলে দেওয়ায় ভালো হয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় বাচ্চারা পড়ালেখায় পিছিয়ে গেছে। ঘরে পড়লেও মনোযোগ ছিল কম। আসলে স্কুলে যেভাবে পড়ানো হয়, নির্দেশনা দেওয়া হয়, ঘরে বসে তা সম্ভব নয়।

মহামারির সময় স্কুল খোলা ও স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী বিদ্যালয়ের প্রস্তুতি সম্পর্কে ছাত্রীর অভিভাবক হাবিব বলেন, ‘কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করার পর মন্তব্য করব। তবে এখন পর্যন্ত যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা ঠিকই আছে।’

রবিবার সকাল ৯/৩০ মিনিটে রাজস্থলী বাজার সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ইউসুফ আলী জানান, স্কুলে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম দিন পঞ্চম ও তৃতীয় শ্রেণির ক্লাস হচ্ছে। অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রী স্কুলের নির্ধারিত পোশাক পরে এসেছে। প্রায় সবার মুখে মাস্ক রয়েছে। যাদের ছিল না, তাদের স্কুল থেকে মাস্ক দেওয়া হয়। স্কুলের নিচতলায় হাত ধোয়ার জন্য বেসিন রাখা হয়েছে। শ্রেণিকক্ষেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষার্থীদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিক্ষকেরা মাস্ক পরেই ক্লাস নিচ্ছেন।তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৫ শতাংশ ছাত্র ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে রাজস্থলী তাইতং পাড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ (পাটোয়ারী) বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ৮০ শতাংশের বেশি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন