টেকনাফে ইয়াবা ব্যবসায়ীর হাতে যুবক ছুরিকাহত
টেকনাফ সংবাদদাতা:
টেকনাফে ক্রিকেট খেলার হারজিতকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ীর হাতে এক যুবক ছুরিকাহত হয়েছেন। বর্তমানে সে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে মৃতে্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৮ মে বিকাল ৫টায়। টেকনাফ পৌর এলাকার পুরান পল্লান পাড়ার বাহারছড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শওকতের বাসার সামনে ।
এর প্রতিকার চেয়ে ঐ যুবকের পিতা ছালেহ আহমদ নিজে বাদী হয়ে আবু কায়েছকে প্রধান আসামী করে টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। দায়েরকৃত মামলার বিবরনীতে জানা যায়, গত ১৮মে বিকাল ৫টায় টেকনাফ উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন পুরাতন পল্লান পাড়াস্থ খেলার মাঠে শামিম ও আয়াজ গংদের সাথে ক্রিকেট খেলা চলে এবং ক্রিকেট খেলার হারজিতকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এতে প্রতিপক্ষ আয়াজ ও আবু কায়েছ গং কর্তৃক সাইকেলের চেইন ও লোহার রড দিয়ে বেদমভাবে প্রতিপক্ষের হাতে শামীম ও কায়েছ গুরুতর ভাবে আক্রান্ত হয়।
এখবর শামীমের বড় ভাই মোঃ আলম জানার পর প্রতিশোধ নিতে জাফর আহমদের পুত্র আবু কায়েছের বাড়ীতে যায় এবং সৃষ্ট ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরপরই উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়ে মারামারি হয়। এক পর্যায়ে আবু কায়েছ শামিমের তলপেটে উপপযুর্গী ছুরিকাহত করে এবং পেটের নাড়িগুড়ি বের হয়ে যায়। পরে তাকে টেকনাফ সদর হাসাপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করার শেষে অবস্থা বেগতিক দেখার পর তাকে চট্টগ্রাম সরকারী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
বর্তমানে আশঙ্কাজনক চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। গত ১৯ মে ছালেহ আহমদ নিজে মামলার বাদী হয়ে এর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে থানায় ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হচ্ছে- জাফর আহমদের পুত্র আবু মুছা (২৪), আবু তালেব(২৬), পিতা অঞ্জাত ইউনুস(৪৫), জাফর আহমদের স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন (৪০), ইউনুসের স্ত্রী সেতারা বেগম (৩৩), সর্বসাং- পুরান পল্ল¬ান পাড়া,।
ঘটনার দিন বাদীর যানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে টেকনাফ থানার ওসি তদন্তের কাছে ফোন করেন এবং তিনি এসআই আলমগীর সহ কয়েকজন পুলিশ পাঠিয়ে দিলেও পুলিশ ঐদিন গাড়ী থেকে নামেনিএবং প্রতিপক্ষের দালালদের সাথে খোশ আলাপে ব্যস্ত ছিলেন। মামলার ১নং আসামী ও মা সহ তার অপরাপর ভাইয়েরা ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। তারা কালোটাকার পেশিশক্তির দাপটে চলে এবং বলে আজ কাল টাকা থাকলে সাত খুন মাফ হয়ে যায়। এ মামলার তদন্তভার ওসি ন্যাস্ত করেছেন এসআই কে। মামলার তদন্তভার নিয়োজিত হবার পর ও উক্ত কর্মকর্তা আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে মামলার কোন অগ্রগতি নেই। পুলিশ শুধু বাদীকে বলে থাকেন আসামীরা কোথায় আছে। আমাকে খবর দিন।