টেকনাফে কৃষকের ধান কেটে ঘরে পৌঁছে দিল পৌর ছাত্রলীগ

fec-image

কীভাবে ধান কাটবেন, বাড়ি নেবেন, মাড়াই করবেন, কীভাবে অর্থের সংস্থান হবে-এ চিন্তায় অসহায় হয়ে পড়েন কক্সবাজারের টেকনাফের কৃষক মোহাম্মদ বশর। করোনো ভাইরাসের জন্য জারি করা লকডাউনের কারণে শ্রমিক না পেয়ে কৃষক বশরের দুই বিঘা জমির ধান মাটিতে নুয়ে পড়ে।

এই অবস্থার কথা জেনে বুধবার (২৯ এপ্রিল) সকালে তার বাড়িতে ছুটে যান কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সদস্য ও টেকনাফ পৌরসভার ছাত্রলীগের সভাপতি সাংবাদিক মোহাম্মদ শাহীন। তবে তিনি একা নন, সঙ্গে নিয়ে যান ছাত্রলীগের ১৫-২০ জন নেতাকর্মী। এসময় তারা কাঁচি হাতে নিয়ে নেমে পরেন টেকনাফ খাংকার পাড়ার ওই ধান ক্ষেতে।

স্থানীয়রা জানান, দেশে করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন থাকায় কৃষি শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। মাঠে ধান পাকলেও সেই ধান কাটার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় অসহায় হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে ছাত্রলীগের একদল কর্মী।

কৃষক মোহাম্মদ বশর বলেন, সবাই যদি এভাবে পাশে দাঁড়ায় তাহলে আমরা বড় রকম ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছাত্রলীগ রাজনীতির পাশাপাশি মানুষের উপকারও করে। ফলে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ শাহীন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই কাজ আমরা অব্যাহত রাখব। যদি কারও সাহায্যের প্রয়োজন হয় আমাদের জানালে আমরা ওই কৃষকের পাশে দাঁড়াব।

টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র আবদুল্লাহ মনির বলেন, ‘সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ওই কৃষকের দুই বিঘা জমির ধান ছাত্রলীগ কেটে মাথায় করে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, মাড়াইও করে দিয়েছেন। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা যেভাবে কৃষকের ধান কেটে দিয়েছে, এতে প্রমানিত হয় ছাত্রলীগ মানব সেবাসহ দেশের উন্নয়ন কাজেও গুরুত্বপুর্ণ  ভূমিকা পালন করে।

ধান কাটার সময় উপস্থিত ছিলেন, ১নং ওয়ার্ডের জসীম উদ্দীন জনি, জসিম উদ্দিন জয়, মো. সাহেল, ৩নং ওয়ার্ডের আবদুল্লাহ আল নোমান, মো. রবিন, মুহাইমিনুল ইসলাম, মো. সায়েম, ৪নং ওয়ার্ডের মো. রুবেল উদ্দিন, মজিবুর রহমান, ৫নং ওয়ার্ডের মো. রফিক, মো. ইদ্রিস, ৬নং ওয়ার্ডের মো. ওমর সাদেক, ৭নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ আরকান শিহাব, ৯নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ ফরহাদ শরীফ, আবদুল্লাহ আল সাফিসহ অনেকে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন