টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুুুই রোহিঙ্গা মাদক কারবারি নিহত

fec-image

কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা মাদক পাচারকারি নিহত এবং বিজিবির দুই সদস্য আহত হয়েছে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে ইয়াবা ও অস্ত্র।

রোববার(৫ জুলাই) ভোরে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ওয়াব্রাং নানীর বাড়ি এলাকার নাফ নদীর তীরে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে জানান বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফয়সল হাসান খান।

নিহতরা হল, উখিয়ার কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জি-ব্লকের ২/ই এর বাসিন্দা মোহাম্মদ শফির ছেলে মোহাম্মদ আলম (২৬) এবং বালুখালীর ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কে/৩ ব্লকের বাসিন্দা মো. এরশাদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ ইয়াছিন (২৪)।

বিজিবির দাবি, নিহতরা মাদক পাচারকারি। ঘটনাস্থলে তাদের মৃতদেহের পাশ থেকে ইয়াবাসহ অস্ত্র ও গুলি পাওয়া গেছে।

লে. কর্নেল ফয়সল বলেন, ভোরে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় একটি চালান পাচার হয়ে আসার খবরে বিজিবির একটি দল টেকনাফে হ্নীলার ওয়াব্রাং নানীর বাড়ি এলাকার নাফ নদীর তীরে অবস্থান নেয়।

এক পর্যায়ে নদী সাঁতরিয়ে ২/৩ জন লোককে আসতে দেখে তীরে উঠতে দেখে বিজিবির সদস্যরা থামার জন্য নির্দেশ দেন। তারা তীরে উঠে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এতে ধাওয়া দিলে বিজিবির সদস্যদের লক্ষ্য করে সন্দেহজনক লোকজন অতর্কিত গুলি ছুড়ে।

এতে বিজিবির ২ সদস্য আহত হয়েছে। বিজিবির সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ে। উভয়পক্ষে ৪/৫ মিনিট গোলাগুলির পর একজন গুলি ছুড়তে ছুড়তে অন্ধকারে কেওড়াবনের ভিতর দিয়ে পালিয়ে যায়।

” পরে গোলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থলে ২ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলের আশপাশে তল্লাশী করে পাওয়া যায় ৫০ হাজার ইয়াবা, ১ টি চাইনিজ পিস্তল ও ২ টি গুলি। “

বিজিবির অধিনায়ক বলেন, আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ ২ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে সেখানে আনা হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

বিজিবি জানিয়েছে, নিহতরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা এবং মাদক পাচারকারি। তাদের সঙ্গে থাকা আইডি কার্ড দেখে পরিচয় শনাক্ত হওয়া গেছে।

নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান লে. কর্নেল ফয়সল।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: টেকনাফ, মাদক, রোহিঙ্গা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন