তামিমের ব্যাটে প্লে-অফে বরিশাল, খুলনার বিদায়

fec-image

দারুণ বোলিংয়ে কুমিল্লাকে নাগালে রেখে কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন তাইজুল-সাইফউদ্দিনরা। রান তাড়ায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ৩ ছক্কা ও ছয় চারের মারে সাজানো ইনিংসে ৪৮ বলে ৬৬ রান করেন টাইগার এই ওপেনার। জিতলেই নিশ্চিত হবে প্লে-অফ, হারলেও টিকে থাকবে আশা—এমন সমীকরণের ম্যাচে তামিমের ব্যাটে ভর করে কুমিল্লাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে চতুর্থ দল হিসেবে শেষ চারে জায়গা নিশ্চিত করেছে ফরচুন বরিশাল।

১৭ ওভারের খেলা শেষে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের রান ছিল ৯৮। শেষ তিন ওভারে রান এসেছে ৪২। ওভারপ্রতি ২৪ রান করে। যার কৃতিত্ব প্রায় পুরোটাই জাকের আলির। ১৬ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন এই স্বদেশি ব্যাটার।

জাকেরের শেষের ঝড়ে মাঝারি আকারের পুঁজি পেয়েছে কুমিল্লা। ৮ উইকেটে ১৪০ রান তুলেছে লিটন দাসের দল। অর্থাৎ জিততে হলে ফরচুন বরিশালকে করতে হবে ১৪১ রান।

শুক্রবার ঢাকার শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বরিশালের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে কিছুটা ধীরগতিতে রান তুলে পাওয়ার প্লে শেষ করেছে কুমিল্লা। এই ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৩৭ রান করেছে লিটন দাসের দল।

এদিন কুমিল্লার হয়ে ওপেনিংয়ে লিটনের সঙ্গে নামেন সুনিল নারিন। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে নারিন ফেরেন ১৮ বলে ১৬ রান করে। সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলে তাইজুল ইসলামের বলে বোল্ড হন লিটন। ১২ বলে ১২ রান করেন কুমিল্লার অধিনায়ক।

চতুর্থ উইকেটে তাওহিদ হৃদয় ও মঈন আলির ৩০ বলে ৩৬ রানের জুটিতে কিছুটা সামনের দিকে এগিয়ে যায় কুমিল্লার স্কোরকার্ড। ২৬ বলে ২৫ রান করে তাইজুলের বলে ওভেদ ম্যাকয়ের হাতে ক্যাচ হন তাওহিদ। ২২ বলে ২৩ রান করেন মঈন। আকিফ জাভেদের বলে সৌম্য সরকারের হাতে ধরা পড়েন তিনি।

চাপের মুখে এদিন জ্বলে উঠেনি আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটও। ১১ বলে ১৪ রান করে তাইজুলের বলে বোল্ড হন তিনি। শেষ দ্রুতগতিতে রান তুলে কুমিল্লাকে ১৪০ রানে নিয়ে ঠেকান জাকের আলি। ১৬ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন জাকের।

এই ম্যাচটি কুমিল্লার জন্য তেমন গুরুত্বপূর্ণ না হলেও বরিশালের জন্য বেশ গুরুত্ববহ। কারণ, তামিম ইকবালের বরিশালের এখনো কাগজে কলমের হিসেবে প্লে অফ নিশ্চিত করতে পারেনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন